সকল মেনু

প্রচার প্রচারণা ও সচেতনতার অভাবে তামাক চাষে নিরুৎসাহিত হচ্ছে না নীলফামারীর চাষীরা

Tamak-1মো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী  : প্রচার প্রচারণা ও সচেতনতার অভাবে ক্ষতিকর তামাক চাষ থেকে নিরুৎসাহিত করা যাচ্ছে না নীলফামারীরে তামাক চাষীদের। অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভালো দামের পাশাপাশি তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণ কোম্পানিগুলোর নানামুখি প্রণোদনায় দিব্যি চলছে তামাক চাষ। জেলার প্রায় সব স্থানেই কমবেশি তামাকের চাষ হচ্ছে। তবে জেলার সদর উপজেলার টুপামারি, লক্ষ্মীচাপ, চাপড়া সরমজানি, গোড়গ্রাম, পলাশবাড়ি, রামনগর, কিশোরীগঞ্জ উপজেলার পুটিমারি, নিতাই, বড়ভিটা এলাকায় বেশি হচ্ছে। কৃষকরা বলছেন, বিধি নিষেধ না থাকায় গ্রামের কৃষকরা তামাক চাষ থেকে বিরত থাকছে না। পাশাপাশি সমসাময়িক গম ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা গেলে ক্ষতিকর এ ফসলের আবাদ অনেকটাই কমে যাবে। সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের বাজিতপাড়া গ্রামের কৃষক নূরজাহান বেগম বলেন, রেডিও টিভিতে শোনা যায় ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কিন্ত মাঠ পর্যায়ে আমাদের কেউ বলেনি। তাই ভালো দামের আশায় আমরা তামাক চাষ করি। এক বিঘা জমিতে চার হাজার টাকা খরচ করে তামাক চাষ করলে সেখানে উৎপাদিত উৎপাদিত তামাক ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। কিশোরীগঞ্জ উপজেলার পুটিমারি ইউনিয়নের তামাক চাষী খতিব উদ্দিন জানান, আমরা জানি তামাক চাষ করা সমাজ ও শরীর উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। ভালো দাম পাওয়ার আশায় আমরা তামাক চাষ করি। তাছাড়া তামাক চাষে কেউ আমাদের নিরুৎসাহিত করেনি। তাই গত বছর ৭ বিঘা জমিতে তামাক আবাদ করে ভালো দাম পাওয়ায় এবছরও একই পরিমাণ জমিতে তামাক চাষ করেছি। নীলফামারী কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, ২০১২ সালে ৪ হাজার ৭৯০ হেক্টর, ২০১৩ সালে ৪ হাজার ৬২০ হেক্টর, ২০১৪ সালে ৪ হাজার ৯৪০ হেক্টর এবং চলতি ২০১৫ সালে ৪ হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ করা হয়েছে। নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, তামাক চাষাবাদে নিরুৎসাহিত করার জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের নিয়মিত উদ্বুদ্ধ করা হয়। পাশাপাশি তামাকের বিকল্প গম, ভুট্টা, ডালসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করার জন্য কৃষকদের বলা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু তামাক নিষিদ্ধ নয় তাই তামাক চাষের জন্য কৃষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়না। এটি নিষিদ্ধ করা গেলে কেউ আর তামাক চাষ করতো না। এ বিষয়ে নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তামাক চাষে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও ভালো দাম পাওয়ার কারণে কৃষকরা তামাক আবাদ করে যাচ্ছে। রেডিও, টিভিতে প্রচার-প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি সরকারি নানা উদ্যোগে তামাক চাষাবাদে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top