সকল মেনু

বাকপ্রতিবন্ধি শিশু ধর্ষন: পুলিশ সুপারের কাছে ধর্ষকের শাস্তি কামনা

 নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, চাঁদপুর:ফরিদগঞ্জের গোবিন্দপুরে বাকপ্রতিবন্ধি অসহায় শিশুকে জোরপুর্বক ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাঁপা দিতে ধর্ষক পরিবার বিভিন্ন মহলের সাথে মোটা অংকের টাকা লেনদেন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ধর্ষনের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সব মহলের সাথে রফদফা হয়েছে – এই আত্ম বিশ্বাসে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রবাসি ইউসুফ গাজীর ছেলে ধর্ষক শামিম। এদিকে গত দু’দিনেও বাক প্রতিবন্ধি মেয়েটির রক্তক্ষরণ না থামায় হাসপাতালের  চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে হতদরিদ্য বাক প্রতিবন্ধী শিশুটির পরিবার। অসহায় বাকপ্রতিবন্ধী শিশুটির বয়স তের। তার বাবা আবুল বাশার পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। গত বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে শিশুটি তার নানার বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে যাচ্ছিলো। এ সময় তাকে  টেনে হেঁচড়ে গোবিন্দপুরের প্রবাসি ইউসুফ গাজী বাড়ির টয়লেটের পিছনের বাগানে নিয়ে মুখ চাপা দিয়ে ধর্ষন করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী লম্পট যুবক শামীম। বাক প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে ধর্ষনের পর ফেলে রেখে চলে যায় শামিম। মেয়েটি তার বাড়িতে যেয়ে আকার-ইংগিতের মাধ্যমে  ধর্ষক শামিমের বর্ণনা দেয়। এরপর স্থানীয়রা শামিমকে বাক প্রতিবন্ধী  মেয়েটির সামনে আনলে সে তাকে চিহ্নিত করে।   ধর্ষক শামীমের পরিবার  প্রভাবশালী হওয়ায় তারা মোটা অংকের টাকার মাধ্যমে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নামধারি মানবাধিকার চক্র, কতিপয় ভুয়া সাইনবোর্ডধারি পত্রিকার কার্ডধারি সাংবাদিক ও স্থানীয় পঞ্চায়েতসহ আরো কয়েকটি মহলকে ম্যানেজ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাকপ্রতিবন্ধি তের বছরের এ শিশুকে জোরপুর্বক ধর্ষনের পর গুরুতর অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তার অভিভাবকরা চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করিয়েছে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছে, দু‘দিন পার হয়ে গেলেও মেয়েটির রক্তক্ষরণ থামছেনা। মেয়েটির বাবা ও তার পরিবারের লোকজন পুলিশ সুপার মোঃ আমির জাফরের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে তিনি যেন তাদের সন্তানের সর্বনাশকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক মাস্তির ব্যবস্থা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top