বিনোদন ডেস্ক : বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে কলকাতার নিউ টাউনে তৈরি করা হয়েছে নজরুল ও রবীন্দ্র তীর্থ। পুরো ভারতে এই প্রথমবারের মতো নজরুল আর আর কবিগুরুকে নিয়ে এতো বড় উদ্যোগ নেয়া হলো বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
কংক্রিটের এই স্থাপনার প্রতিটি অংশ ধারণ করছে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের মৌলিকত্ব। চির উন্নত শিরে যিনি বয়ান করে গেছেন সাম্য ও মানব প্রেমের বাণী, সেই কবিরে স্মরণ করতে কোন উপলক্ষের দরকার আছে কি? তিনি যে গান কাব্য ও নাটকের ভাষায় বাঙালীর জীবন বিদ্রোহের আগুন জ্বেলে দিয়েছিলেন তাই তো এক সুন্দর উপলক্ষ হয়ে রয়েছে দুই বাংলার জন্য।
নজরুল তাই চিরভাস্বর। আর তাই তাঁর জীবন ও সময়ের অসংখ্য ছবি ও তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে নজরুল তীর্থ। কলকাতার নিউ টাউনে সুদৃশ্য এই ভবনটি নজরুল বিষয়ক গবেষণা, ও অনুষ্ঠানের জন্যও আদর্শ।
দর্শনার্থীরা বলেন, এখানে এসে অনেক না দেখা ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছি। নতুন প্রজন্মের শিশুদের জন্য এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
নজরুল তীর্থের ঠিক পাশেই তৈরি করা হয়েছে রবীন্দ্র তীর্থ নামে দুটি যাদুঘর। ঠিক যেন বীরভূমের আদিবাসী সাঁওতালী পল্লীর আবহ তুলে এনে কবি গুরুর প্রকৃতি প্রেমকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই তীর্থকেন্দ্রে। এখানে রবিঠাকুরের ছবির পাশাপাশি প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে তার হাতে আঁকা চিত্রকর্মও। আর মাঝেমাঝেই যন্ত্রসঙ্গীতে বেজে উঠছে রবিসুর।
দর্শনার্থীরা জানান, রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা। রবীন্দ্র তীর্থ অনেক উপভোগ্য স্থান হয়েছে।
বাংলা সাহিত্যের এই দুই মহান পুরুষের জন্য এতো বড় পরিসরের আয়োজন আগে কখনোই নেয়া হয়নি। একে সাহিত্য অনুরাগীদের জন্য একটি নবদৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘এখানে সাহিত্য অনুরাগীদের আগমন ঘটছে প্রতিনিয়তই। বাংলা সাহিত্যের নানারকম চর্চা হবে এখানে আশা করা যায়।’
কবি গুরু বলেছিলেন আমারে তুমি অশেষ করেছো। আসলেই কি তাই? যে অশেষ রত্নভাণ্ডার বাংলা সাহিত্যের জন্য তিনি রেখে গেছেন, বিনিময়ে তার কতটুকুই বা দিয়েছি আমরা? তাই এই সামান্যতম প্রয়াস তাই বাঙালীর প্রাণের দুই কবির জন্য।
এর মধ্যেই প্রজন্মের বাঙালি খুঁজে পাবে রবীন্দ্র ও নজরুলের ভাব, রঙ ও গন্ধ, এমনটাই আশা সংশ্লিষ্টদের।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।