সকল মেনু

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশনরত শিক্ষকদের মঞ্চ ভেঙ্গে দিয়েছে এলাকাবাসি

 ইকবাল হোসেন, হটনিউজ২৪বিডি.কম,রংপুর: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে অনশনরত শিক্ষকদের মঞ্চ ভেঙ্গে দিয়ে এলাকাবাসি। এনিয়ে এলাকাবাসির সাথে শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে শিক্ষকসহ ২০ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ ও ২০ রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে ওই ঘটনা ঘটে।  পুলিশ, আহত শিক্ষক ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, সাবেক রংপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এবং সাবেক ছাত্রনেতা আলা উদ্দিনসহ এলাকাবাসিসন্ধ্যায় আগে অনশনরত শিক্ষার্থীদের মঞ্চে গিয়ে তাদের অনশন ভাঙ্গার আহবান জানান এবং শিক্ষা সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। এনিয়ে শিক্ষকদের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। উভয়পক্ষই উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এসময় উত্তেজিত জনতা অনশনকারিদের মঞ্জ ভেঙ্গে দেয় এবং উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ খরব জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের অবরোধ তুলে নেওয়া আহবান জানালে শিক্ষার্থীরা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও তাদের উপর লাঠিচার্জ ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষ ও পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন কম্পিউটার  সাইন্স বিভাগের শিক্ষক ফরিদ উল ইসলাম, পদার্থ বিদ্যা বিভাগের শিক্ষক গাজী মাযহারুল আনোয়ার, খন্দাকার জাহাঙ্গীর, সহকারি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সামসুল হক, সহকারি রেজিস্ট্রার আমিনুল রহমান, এরশাদুজ্জামান,  শিক্ষার্থী শাহজাহান আলীসহ ২০৫ জন। আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয় নিয়ে আন্দোলনকারিদের সাথে কথা বলতে গিয়েছিলাম। কথা বলায় সময় কয়েকজন শিক্ষক হঠাত উত্তেজিত হয়ে আমাদের লোকজনের উপর তেড়ে আসে। এসময় এলাকাবাসি তাদের মঞ্চ ভেঙ্গে দেয়। তিনি বলেন আন্দোলনের নামে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশিল করে তুলেছে শিক্ষকরা।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. হাফিজুর রহমান সেলিম জানান, আমরা উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে শাস্তিপুর্ন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু গতকাল বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা চালায়।  তিনি অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতাদের দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় ফাঁড়ির ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়ার আহবান জানালে শিক্ষার্থীরা আমাদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশ লাঠিচার্য ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।  বর্তমানে ক্যাম্পাসে শান্তিপুর্ন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন রয়েছে বাড়তি পুলিশ।
এব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নূর-উন-নবী ঢাকায় থাকার তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। গত ৮ ফেব্রয়ারি  থেকে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে অনশন শুরু করে শিক্ষকরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top