সকল মেনু

তিস্তার চরে ভুট্টার বাম্পার ফলন, সেচ সংকটে কমেছে ধানের আবাদ

Vuttaমো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী প্রতিনিধি : তিস্তায় জেগে ওঠা চরসহ নীলফামারীর ডিমলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। সেচ সংকটের কারণে সেচ নির্ভর ইরি- বোরো ধানের আবাদ কমেছে। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় এবারে ভুট্টার ফলন ভালো হওয়ায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা। বড় ধরণের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার না হলে রেকর্ড পরিমাণ ভুট্টা ঘরে তোলার আশা করছেন তারা। কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে ইরি- বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৩ হাজার ৩ শ’ হেক্টর জমিতে আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫৫ হাজার ২৫ মেট্রিক টন চাল। গেল বছর তিস্তার পানি চরম সংকট দেখা দেয়ায় বিপর্যয়ের মুখে পড়ে সেচ কার্যক্রম। ফলে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবার অল্পসংখ্যক জমিতে ধানের বিকল্প হিসাবে ভুট্টার চাষাবাদ করা হয়েছে। পাশাপাশি তিস্তায় জেগে ওঠা সবগুলো চরে রেকর্ড পরিমাণ ভুট্টার চাষাবাদ করা হয়েছে।
কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছর ডিমলায় ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫ হাজার ৬৮২ হেক্টর জমিতে। আর এর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪০ হাজার ৩৪৫ মেট্রিক টন ভুট্টা। কিন্ত বাস্তব চিত্র ভিন্ন। লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ জমিতে ভুট্টার আবাদ করা হয়েছে। বিশেষ করে তিস্তা নদীতে জেগে ওঠা সবগুলো চরে রেকর্ড পরিমাণ ভুট্টার চাষাবাদ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর, পূর্ব ছাতনাই, খগখড়িবাড়ি ইউনিয়নের দোহলপাড়া, কিসামতের চর, কিসামত ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব খড়িবাড়ি, দক্ষিণ খড়িবাড়ি, উত্তর খড়িবাড়ি, টাবুরচর, ফকতের চর, ভাসানের চর, চর খড়িবাড়ি, খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ছোটখাতা, পশ্চিম বাইসপুকুর, পূর্ব বাইসপুকুর, সতিঘাট, ডালিয়া এবং ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ছাতুনামা, ভেন্ডাবাড়ি ও ফরেষ্টের চর। ফসল ওঠা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবং প্রাকৃতিক কোন বড় ধরণের দুর্যোগ না হলে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top