সকল মেনু

হরতাল-অবরোধে চরম সংকটে হিমায়িত মাছ রপ্তানি

frozen-exportনিজস্ব প্রতিবেদক : চলমান হরতাল অবরোধে হিমায়িত মাছ রপ্তানি চরম সংকটে পড়েছে। নাশকতার ভয়ে দূর দূরান্ত থেকে মাছের গাড়ি না আসায় হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে রপ্তানির অর্ডার। ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোটার্স এসোসিয়েশনের দাবি, উৎপাদন কমে যাওয়ায় চট্টগ্রামসহ সারাদেশে দৈনিক ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। এ অচলাবস্থা না কাটলে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশংকা সংগঠনটির।

চিংড়ির পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকে সাধারণত হোয়াইট ফিশ নামে পরিচিত বিভিন্ন রকমের ছোট মাছ রপ্তানি করা হয়। এর মধ্যে চিংড়ি আসে খুলনা, বাগেরহাট ও কক্সবাজার থেকে।

আর হোয়াইট ফিশ সংগ্রহ করা হয় ভৈরব, কিশোরগঞ্জ, রাঙ্গামাটির কাপ্তাই লেক, সিলেটসহ বিভিন্ন হাওর অঞ্চল থেকে। নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এসব মাছ সংগ্রহের ভরা মৌসুম হলেও বিএনপি-জামায়াত জোটের টানা হরতাল ও অবরোধে এবার প্রয়োজনীয় মাছ সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত করা যায়নি। ফলে টার্গেট অনুযায়ী মাছ বিদেশে পাঠাতে না পারায় ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন রপ্তানিকারকরা।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আশরাফ হোসেন মাসুদ বলেন, ‘একদিন মাছ পাওয়া গেলে পরবর্তী কয়েকদিন মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। সময়মতো মাছ না পাওয়ায় আমাদের চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকরা অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এর ফলে মাছ পেলেও মাছগুলো প্রক্রিয়াজাত করতে পারছি না। এই কারণে বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও খুলনা দুই জায়গাতেই আমরা প্রতিদিন আট থেকে দশ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’

এদিকে যথাসময়ে মাছ রপ্তানি সম্ভব না হওয়ায় অর্ডার বাতিলের পাশাপাশি ক্রেতা হারাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

আঙরাজ ফিশ প্রডাক্টস এর মহাব্যবস্থাপক স্বপন পাল বলেন, ‘আমরা টার্গেট পূরণ করতে পারছি না। প্রোডাকশন করতে পারছি না। অনেক বায়ার আমাদের অর্ডার বাতিল করে দিচ্ছে।’

ফিশ প্রিজার্ভ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাফায়েত জামিল বলেন, ‘আমাদের বায়াররা মাছ কেনার জন্য টাকা দিয়ে রেখেছে কিন্তু নাশকতার ভয়ে কোন পণ্যই শহরে আসতে পারছে না। ফলে আমরা কোন পণ্য পাচ্ছি না।’

বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ৬০টি দেশে মাছ রপ্তানি হয়। ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টাস এসোসিয়েশন বলছে, রাজনৈতিক অচলাবস্থা না কাটলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সহ-সভাপতি আশরাফ হোসেন মাসুদ বলেন, ‘যেহেতু আমাদের এখন পিক টাইম। যদি মাছগুলো আমরা সংরক্ষণ করতে পারতাম তাহলে আরো বাড়তি রপ্তানি করতে পারতাম। এই অবস্থা চলতে থাকলে আশঙ্কা করছি আমাদের রপ্তানির পরিমাণ পঁচিশ শতাংশ কমে যাবে।’

বর্তমান সংকটকালীন সময়ে ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফের পাশাপাশি রপ্তানির ওপর প্রদত্ত ভর্তুকি থেকে সিলিং উঠিয়ে দেয়ার দাবি মাছ রফতানিকারকদের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top