সকল মেনু

বিপদগ্রস্তদের পাশে থাকছে না কেউ, বাড়ছে মানবিক সঙ্কট

murder-effectহট নিউজ ডেস্ক : বিপদগ্রস্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসার ঘটনা ক্রমেই যেন কমে আসছে সমাজে। বিশেষ করে, হামলা বা হত্যাচেষ্টার পর গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেও এগোচ্ছেন না অনেকে। তারা বলছেন, সদিচ্ছা থাকলেও পুলিশি হয়রানির ভয়ে ঘটনার সঙ্গে নিজেকে জড়াতে চান না। এদিকে, সামষ্টিক আচরণে নেতিবাচক এই পরিবর্তন সমাজ জীবনে ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন সমাজবিজ্ঞানীরা।

সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্য। বাহুবন্ধ সারিতে জোর প্রতিরোধের এই স্থাপত্যটিকে বলা হয় ‘সন্ত্রাস বিরোধিতার মূর্ত প্রতীক’।

টিএসসি গোল চত্বরের এই ভাস্কর্য থেকে মাত্র কয়েক গজ দূরে ক’দিন আগে কুপিয়ে হত্যা করা হলো বিজ্ঞানমনষ্ক ব্লগার, প্রকৌশলী অভিজিৎ রায়কে। আশপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন অসংখ্য মানুষ, কিন্তু হামলাকারীদের প্রতিহত করার সাহস দেখায়নি কেউ। এমনকি আকুতি জানানোর পরও দেখা যায়নি সাহায্যের এতোটুকু হাত পর্যন্ত বাড়াতে। একই চিত্র ধরা পড়ে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক শফিউল ইসলামের ওপর হামলার পরও। রক্তাক্ত অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ রাস্তার ধারে পড়ে থাকার পর পরিচিত জনরা হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়।

মুক্তিযুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের গৌরব রয়েছে যে জাতির, তাদের আচরণে হঠাৎ এই পরিবর্তন কেন? প্রশ্ন ছিলো সাধারণ মানুষের কাছে। তারা বলেন, পুলিশি হয়রানির কথা চিন্তা করেই দূরে থাকেন সাধারণ মানুষ।

তাদের এসব ভয় যে অমূলক নয়, তার প্রমাণও পাওয়া গেলো। ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে হামলায় গুরুতর আহত অধ্যাপক হুমায়ূন আজাদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র। সাধুবাদের চেয়ে পরবর্তীতে তাদেরকে বেশি হতে হয়েছে পুলিশি হয়রানির শিকার।

কারণ যা-ই হোক না কেন, সামষ্টিক আচরণের এই পরিবর্তন সমাজ জীবনে ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম খানের।

তিনি বলেন, ‘অন্যের জন্য এগিয়ে গেলে নিজে আবার বিপদে পড়ার সম্ভাবনা থাকে, সেই কারণে একদিকে আমরা স্বার্থপর হচ্ছি, নিষ্ক্রিয়তা বাড়ছে, এটি সমাজের মধ্যে বিভাজন তৈরি করবে, সমাজকে বিশৃঙ্খল করবে। ‘

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top