সকল মেনু

‘এ বাণী বোমা বর্ষণের জবাব’

  হটনিউজ ডেস্ক: ‘পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো এই বাণীকে সেন্সর করায় আমরা এর নিন্দা জানাচ্ছি। পাশ্চাত্যের গণমাধ্যমগুলোর মূল-ধারা ইসলাম সম্পর্কে আমাদের কাছে একপেশে চিত্র তুলে ধরে বলছে, ইসলাম যুদ্ধ-উন্মাদ ও রক্ত-পিপাসু ধর্ম এবং এ ধর্ম পশ্চিমাদের সবাইকে হত্যা করতে চায়। ইরানের সর্বোচ্চ নেতার এই বাণী হয়তো মিথ্যা প্রচারণার অবিরাম বোমা বর্ষণের ফলে সৃষ্টি বিষাক্ত পরিবেশ মোকাবেলারই প্রচেষ্টা। পাশ্চাত্যের গণমাধ্যমগুলোর মূল-ধারা ইসলামের যেসব বৈশিষ্ট্যের কথা প্রচার করছে তা তাদের স্টুডিওগুলোতেই তৈরি করা হয়েছে ও ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ইসলামের নামে কোনো ছোটখাটো অপরাধও যদি কেউ করে থাকে তা নিয়ে প্রতিদিন প্রচার করা হয় নানা ধরনের বিকৃত ও দুর্বৃত্তসুলভ প্রতিবেদন। আর এসবের মোকাবেলায় যা কিছু জনগণকে ভারসাম্যপূর্ণ বা পক্ষপাতহীন ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিচার-বিবেচনার দিকে টেনে নেয় তাকে উপেক্ষা করছে পশ্চিমা গণমাধ্যম। ইরানের সর্বোচ্চ নেতার এই বাণীতে বিশ্বের ৯৯ শতাংশ মানুষকে বলা হচ্ছে যে বিশ্বের কেবল এক শতাংশ মানুষের পরিচালিত নানা কোম্পানি ও সংস্থা যেসব কল্পিত ও কৃত্রিম বর্ণনা প্রচার করছে সেগুলোকে তারা (৯৯ শতাংশ) যেন উপেক্ষা করেন।’

গত ২১ জানুয়ারি (২০১৫) বিশ্বের সংবাদ ও গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয় পশ্চিমা যুব সমাজের কাছে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ঐতিহাসিক বাণী। অনন্য এই বাণী বিশ্বব্যাপী যুক্তিবাদী ও চিন্তাশীল মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। প্যারিসে শার্লি এবদো নামের একটি রম্য-পত্রিকার অফিসে রহস্যজনক হামলার অজুহাতে ওই পত্রিকায় মহানবী (সা.)’র প্রতি একটি অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশের পটভূমিতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এই বাণী পাঠান।

তিনি বলেছেন, ‘ইসলাম আতঙ্ক’ থেকে পালিয়ে না গিয়ে এ ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা উচিত। তিনি আরো বলেছেন, মুসলমানদের ব্যাপারে আতঙ্ক তৈরি করে তা থেকে রাজনৈতিক সুবিধা আদায় পাশ্চাত্যের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top