সকল মেনু

অনিশ্চয়তায় এক লাখ শিক্ষার্থী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা হয়নি

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ইকবাল হোসেন, রংপুর : শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের আন্দোলনের ফলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি ইচ্ছুক প্রায় ১ লাখ পরীক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ভর্তি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করার ৪ মাস চললেও এখনও ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারন করা হয়নি। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে একমাস আগে ক্লাস শুরু হলেও রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও ভর্তি পরীক্ষাই হয়নি। এনিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা রয়েছেন দুচিন্তার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ৪, ৫ ও ৬ ডিসেম্বর। কিন্তু আন্দোলনের ফলে এ তারিখ স্থগিত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত)মোর্শেদ-উল-আলম জানিয়েছেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদে ২১টি বিভাগের ১ হাজার ২৫০টি আসন রয়েছে। এসব আসনে ২০১৪-২০১৫ শিক্ষা বর্ষে অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের সময়সীমা ছিল ১০ নভেম্বর। এরপর ওই তারিখ পরিবর্তন করে গত ২৫ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত মোবাইল ফোনে রেজিস্ট্রেশন সময়সীমা নির্ধারন করা হয়। এ সময়ের মধ্যে আবেদন জমা পড়ে ৯০ হাজার ৪০২ জন শিক্ষার্থীর। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী বেশি। প্রথমে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারন করা হয়েছিল আগামী ৪, ৫ ও ৬ ডিসেম্বর। শিক্ষকসহ অন্যান্যদের আন্দোলনের ফলে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ স্থগিত করা হয়েছে। এ তারিখ এখনও নির্ধারন করা হয়নি। এ কারণে শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনই ক্যাম্পাসে এসে নোটিশ বোর্ড দেখে ঘুরে যাচ্ছেন।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কথা হয় কুড়িগ্রামের সালেহ আহমেদ ও তার বোন রোকসানা ইয়াসমিনের সাথে। তারা ক্যাম্পাসে এসেছেন ভর্তি পরীক্ষার তারিখ জানতে। কিন্তু এসে দেখেন এখনও কোন তারিখ নির্ধারন করা হয়নি। তারা বলেন, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আন্দোলনের ফলে পরীক্ষার তারিখ স্থগিত করা ঠিক হয়নি। তারা আরো বলেন, আমরা ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে টেনশনে রয়েছি,  অন্য কোথাও আমরা ভর্তি পরীক্ষা দেইনি। নীলফামারী এলাকায় সামছুল আলম ও হাসনা বানু জানান, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করে মনে হয় এক বছর নষ্ট করতে হচ্ছে। কারণ এখনও ভর্তি পরীক্ষা হয়নি। তিন মান চলে যাচ্ছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ভর্তি পরীক্ষা শেষে ক্লাস শুরু হয়েছে এক মাস হলো। বিশ্ববিদ্যালয় সুত্রে জানা গেছে, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আন্দোলনের ফলে চলতি মার্চ মাসে অনার্স ভর্তি পরীক্ষা হবে কী না তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।
আন্দোলনের বাইরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের নীল দলের সভাপতি আপেল মাহমুদ জানান, আন্দোলনের ফলে বিশৃংখলার ভয়ে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এতে করে শিক্ষা জীবন থেকে পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, আমরাও চাই দ্রুত ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হউক।
আন্দোলনকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. হাফিজুর রহমান সেলিম  জানান, আমরা চাই দ্রুত উপাচার্য তার পদ থেকে সরে যাবেন। তিনি চলে গেলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নূর-উন-নবী জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই পরীক্ষার তারিখ নির্ধারন ঘোষণা করা হবে। তবে যত দ্রুত সম্ভব ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারন করা হবে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top