সকল মেনু

‘সরকার বিরোধীদলকে দমনে হিটলারের পথে’

43055_1নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, সরকার বিরোধীদলের আন্দোলন দমনের নামে হিটলারী পথে এগুচ্ছে। তিনি বলেন, তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) যৌর্থ আয়োজনে গনমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিরয়ে দেওয়া সহ ৭ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির সমর্থণে তিনি এ মন্তব্য করেন।বিএফইউজের সভাপতি শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে এ অবস্থান কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাএখন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহব্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, বিএফইউজের মহাসচিব এম এ আজিজ, সাংগঠিনক সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, ডিইউজের সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, যুগ্ম সম্পাদ কাদের গনি চৌধুরী, ডিইউজের সাবেক সহ সভাপতি ছড়াকার আবু সালহ, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান,যুগ্ম সম্পাদক শাহীন হাসনাত, ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মীর অআহমেদ মীরু, সাংবাদিক নেতা কবি কামার ফরিদ প্রমুখ।
ড.এমাজউদ্দীন বলেন, হিটলার যেমন এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিরোধীদের দমনে নেমছিল। হিটলারের অত্যাচার-নীপিড়েনর কলঙ্কজনক ইতিহাস রয়েছ। বর্তমান সরকারও বিরোধীদের দমনে হিটলারী পন্থা অবলম্বন করে ওই কলঙ্কজনক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ১ বছর আগেই মারা গেছে। এভাবে চলতে থাকে একদিন দেখবো দেশের স্বাধীনতাও নেই।
ড.এমাজউদ্দীন বলেন, গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত হওয়ার নাম করে সরকার দেশে একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে। হিটলার-মুসোলিনীও এই শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিলো।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বর্তমানে কীভাবে আছেন, কেমন আছেন আমরা জানি না। তিনি হয়তো অন্তরীণ বা অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন উল্লেখ করে সাবেক এই উপচার্য বলেন, যে মহিলা(খালেদা জিয়া) স্বৈরাচারের কবল থেকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, তাকে আজ অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করেছে। ফলে সাংবাদিক সমাজ বাধ্য হয়েছে রাজপথে নামেত।

সাংবাদিকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে; গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, অবরুদ্ধ গণতন্ত্র ও সব সহিংসতার অবসান, মাহমুদুর রহমান ও মোসাদ্দেক আলী ফালুর মুক্তি, বন্ধ মিডিয়া খুলে দেওয়া, সাংবাদিকদের উপর থেকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা, সেন্সরশিপ প্রত্যাহার করা ও কালো আইন এবং গণবিরোধী গণমাধ্যম নীতিমালা স্থগিত করা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top