সকল মেনু

ধৈর্য ধরতে বললেন কামারুজ্জামান

43022_1নিজস্ব প্রতিবদেক : মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কারাগারে দেখা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তিনি তার পরিবারের সদস্যদের ধৈর্য ধরতে বলেছেন। দেশবাসীর কাছে দোয়াও চেয়েছেন কামারুজ্জামান।

কামারুজ্জামান জানিয়েছেন, তিনি মোটেও বিচলিত নন। এই পরিস্থিতিতে তিনি যেন সাহসের সঙ্গে ধৈর্য ধারণ করতে পারেন সে জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
শনিবার বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে কারাগার থেকে বেরিয়ে পরিবারের সদস্যরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর কামারুজ্জামানের আইনজীবী মো. শিশির মনির সাক্ষাতের কথা সাংবাদিকদের জানান।

শিশির মনির বলেন, কামারুজ্জামানের পরিবারের আটজন কারাগারের ভেতরে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেছেন। আজকের এই নিয়মিত সাক্ষাতে কামারুজ্জামান যেটি জানিয়েছেন, তাকে যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে সেই রায়ে তিনি মোটেও বিচলিত নন। তিনি মনে করেন, সম্পূর্ণরূপে তিনি নির্দোষ। যে অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে সেই ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই যুক্ত ছিলেন না।
তিনি বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কামারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের পুলিশ বেআইনিভাবে হয়রানি করেছে। কোনো প্রকার ওয়ারেন্ট ছাড়াই তার বাসা তল্লাশি চালিয়েছে। তার ছেলেদের দেখা করতে দিচ্ছে না। ফলে আজ তারা পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

তিনি বলেন, কামারুজ্জামান মনে করেন, যে কারণে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে এ দেশের তরুণ সমাজ একদিন সত্য উদঘাটিত করবেন। তিনি পরিবারের সদস্যদের বলেছেন, যথাযথ নিয়মে তার রিভিউ আবেদন করতে বলেছেন। সেখানেই তিনি ন্যায়বিচার আশা করেন।
শিশির মনির আরও বলেন, আইনজীবীদের সঙ্গে আবারও দেখা করার সময় আসেনি। তবে তিনি পরিবারের সদস্যদের বলেছেন, রিভিউ পিটিশন নিষ্পত্তি হওয়ার পর আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করবেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরিবারের নিকট আত্মীয়সহ সাক্ষাতের জন্য আটজন কারাগারে প্রবেশ করেন। ঘণ্টাখানেক পর তারা বেরিয়ে যান। স্বজনদের পক্ষ থেকে ছেলে হাসান ইকবাল মোবাইলে জানান, এটি পরিবারের নিয়মিত সাক্ষাতের অংশ।
এ ছাড়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী কারাগারের স্বজনদের সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চ কামারুজ্জামানের আপিল মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় দেন।
এর আগে গত বছরের ৩ নভেম্বর কামারুজ্জামানকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখে এ রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।

তারও আগে ২০১৩ সালের ৯ মে কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
রায়ের কপি ট্রাইব্যুনালে পৌঁছার পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলীসহ চারজন কামারুজ্জামানের কনডেম সেলে গিয়ে পরোয়ানা পড়ে শোনান। কামারুজ্জামান তাদের কাছে আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা বলেন।

এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় কামারুজ্জামানের পাঁচ আইনজীবী সাক্ষাৎ করতে কারাগারে প্রবেশ করেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর কারাগার থেকে বেরিয়ে তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, কামারুজ্জামান আপিল বিভাগে রিভিউ করবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top