সকল মেনু

স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কারণে সাঈদ, আনিসুলকে আ.লীগের মনোনয়ন

dcc-elex-finalনিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ক্ষমতাসীন দলের সমর্থন পেয়েই রাজধানীর নাগরিক সমস্যার সমাধান এবং একে নতুনভাবে সাজাতে নানা পরিকল্পনা শুরু করেছেন ঢাকা দক্ষিণের প্রার্থী সাঈদ খোকন এবং ঢাকা উত্তরের প্রার্থী ব্যবসায়ী নেতা আনিসুল হক।  অন্যদিকে, রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী না হলেও, মানুষের কাছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কারণে জনপ্রিয় ব্যক্তিদেরকেই এক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা।

ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে উত্তর ও দক্ষিণে ভাগ করার পর নতুন নগরপিতা নির্বাচন করতে এরইমধ্যে তোড়জোড় শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।  গত দু’ বছরে বেশ কয়েকবার নির্বাচন পেছালেও এখনো হাল ছাড়েননি সম্ভাব্য প্রার্থীরা।  এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে গণভবনে ডেকে ঢাকা দক্ষিণ থেকে সাঈদ খোকন ও উত্তর থেকে সাবেক ব্যবসায়ী নেতা আনিসুল হককে নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগের সমর্থনের কথা জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এই দুই প্রার্থী।

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন বলেন, ‘নেত্রী যে চিন্তা চেতনা থেকে আমাকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।  সবাইকে নিয়ে ঢাকাবাসীকে নিয়ে ইনশাল্লাহ এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবো। ‘

ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী আনিসুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এদেশে সবচেয়ে বড় দল।  এ ধরণের একটি দলের সমর্থন প্রয়োজন হয়।  সে সমর্থন আওয়ামী লীগ দেবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্বাস দিয়েছেন। ‘

ক্ষমতাসীন দলের সমর্থন পেয়ে ইতোমধ্যেই রাজধানীর নাগরিক সমস্যার সমাধান এবং একে নতুনভাবে সাজাতে শুরু করেছেন নানা পরিকল্পনা।

আনিসুল হক বলেন, ‘ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ব্যবসায়ীদের জন্য কাজ করেছি।  কিন্তু ব্যবসায়ীরাও জনতার একটি অংশ।  সুতরাং জনগণের জন্য যদি বড় পরিসরে ঢাকার জন্য কাজ করা যায়।  তাহলে আমার মনে হয় যে, সমস্ত ব্যবসায়ীর জন্য কাজ করা হলো। ‘

সাঈদ খোকন বলেন, ‘ আমার প্রথম কাজ হলো ঢাকাকে একটি বাসযোগ্য নগরী হিসেবে ঢাকাবাসীকে ফিরিয়ে দেওয়া। ‘

ডিসিসি নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিকভাবে শক্ত অবস্থান না থাকা এমন দু’জন প্রার্থী নির্বাচনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, নগরপিতা হিসেবে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, যারা সরকারি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে বেশি জড়িত নয়।  দলেও খুব দায়িত্বে নেই।  মেয়র হিসেবে তাদের কাজটি যেন তারা যথাযথভাবে করার সময় পায়, সুযোগ পায়।  ওইভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত না তাদেরকে হয়তো মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে বা চিন্তা করা হচ্ছে। ‘

এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা প্রমাণের একটি বড় সুযোগ মন্তব্য করে তিনি সকল দলকে ডিসিসি নির্বাচনে অংশ নিতে আহ্বান জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top