রংপুর প্র্রতিনিধি : সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করা হলেও সিগারেট কোম্পানিগুলোর নানামুখী প্রণোদনার কারণে রংপুরে কোনভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না জীবন বিনাশী তামাক চাষ। ক্রমেই বাড়ছে এর আবাদ ও উৎপাদন। এ অঞ্চলে গত বছরের চেয়ে এবার ১ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে তামাক চাষ হয়েছে।
এই সেই তামাক। যার প্রতিটি পরতে পরতে রয়েছে বিষাক্ত ছোঁয়া। কৃষকরা ভয়াল এই বিষ সম্পর্কে জানা সত্বেও আলুসহ অন্যান্য সবজিতে মার খাওয়া এবং সিগারেট কোম্পানিগুলোর ঋণসহ নানামুখী সহায়তার কারণে জীবন বিনাশী এই তামাকের আবাদেই ঝুঁকে পড়ছে বেশি। তামাক চাষের ফলে একদিকে যেমন জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে ,অন্যদিকে কমে যাচ্ছে ফসলি জমির পরিমাণও।
কৃষি বিভাগের দাবি, সরকারীভাবে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করা হলেও সিগারেট কোম্পানিগুলোর নানামুখী আগ্রাসনের কারণে কোনভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছেনা তামাকের উৎপাদন ও বিপণন।
রংপুর অঞ্চল কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক প্রতীপ কুমার মণ্ডল বলেন, ‘কোম্পানিগুলোর সুন্দর প্যাকেজ প্রোগ্রাম তারা তৈরি করেছে। চাষিদের ঋণদান থেকে শুরু করে মার্কেটিং পর্যন্ত তাদের পিছনে তারা ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকে। চাষিরা ব্যক্তিগত লাভের জন্য এটা করে থাকে।’
চিকিৎসকরা জানান, তামাকের চারা রোপণ ও পরিচর্যা থেকে শুরু করে গোটা প্রক্রিয়াই মারাত্মক বিষে ভরা। এই বিষয়ে, জেনারেল প্রাকট্রিশনার ডা. অশোক কুমার ভদ্র বলেন, ‘তারা যখন এই গাছ পরিচর্যা করে তখন গাছ থেকে একধরনের রস নিঃসৃত হয় যেটা থেকে চাষিদের নানা ধরনের চর্মরোগের সৃষ্টি হয়।’
এ অঞ্চলে গত বছর ১৭ হাজার ৯’শ ৯৩ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ করা হলেও এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৮৫৭ হেক্টরে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।