সকল মেনু

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে টেন্ডার নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

chandpur,01চাঁদপুর প্রতিনিধি : ফরিদগঞ্জ পৌরসভার হাট বাজার ও বাসষ্ট্যান্ডের ইজারার টেন্ডার ড্রপিং নিয়ে আওয়ামীলীগের দু’ গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষ এবং টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারক ও পৌর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে তা ভন্ডুল হয়ে গেছে। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ দরপত্র ওপেন না করে থানা পুলিশের কাছে টেন্ডার বাক্স হস্তান্তর করেছে।  অন্যদিকে নিয়ম অনুসারে টেন্ডার প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় এবং কর্তৃপক্ষের সামনে টেন্ডারবাক্সে কর্তৃপক্ষের তালার ওপর বহিরাগত লোকজন আবার তালা মারায় সাধারণ ঠিকাদাররা এর নিন্দা জানিয়েচেন।
জানা যায়, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ১৪২২ সালের ফরিদগঞ্জ বাজার ও ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের ইজারার জন্য টেন্ডার জমাদানের জন্য বুধবার ছিল প্রথম পর্যায়ের শেষ তারিখ। দুপুর ১টায় উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা হাজী আউয়াল সুইটস এর মালিক হাজী আউয়ালের পক্ষে টেন্ডার ড্রপিং করতে গেলে পৌর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক লিটন হাজারীর লোকজন বাধা দেয়। এসময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দু’ গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষে ছড়িয়ে পড়ে । এসময় হাজী আউয়ালের দু’ ছেলে খলিলুর রহমান (২৬), বিল্লাল হোসেন (২৯) এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল খায়ের পাটয়ারীর ভাগিনা ইউছুফ ভূঁইয়া (৩৫) আহত হয়। পরে লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এব্যাপারে হাজী আউয়ালের ছেলে আখের হোসেন জানান, তারা তার বাবার নামে দরপত্র জমা দিতে এসেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই জমা দিতে বাধা প্রদান করে লিটন হাজারীর লোকজন। পরে তারা টেন্ডার জমা দিলেও প্রতিপক্ষের হামলায় তার দু’ ভাইসহ তিনজন আহত হয়।
এদিকে সন্ধ্যার পর পৌর মেয়রের অফিসের ভিতরে অবস্থিত টেন্ডারবাক্সের তালার ওপর আরেকটি তালা মেরে দেয়  কিছু যুবক। পরবর্তীতে পৌর মেয়র তাদের কাছে তালার চাবি না থাকা এবং আইনশৃংখলা পরিস্থিতির স্বার্থে টেন্ডারবাক্সটি থানা পুলিশের হেফাজতে দিয়ে দেয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top