সকল মেনু

ভাষা দূষণের কবলে গণমাধ্যম!

journoনিজস্ব প্রতিবেদক : একটা সময় বাবা-মা তাদের সন্তানকে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলায় উৎসাহিত করতে গণমাধ্যমের দ্বারস্থ হতেন। কিন্তু সময় বদলেছে। এখন দেশীয় গণমাধ্যমে ভাষার বিকৃত ব্যবহারের কারণে সাধারণ মানুষ বিনোদন পেতে ভারতীয় কিংবা বিদেশি চ্যানেল বেছে নিচ্ছেন।

এফএম রেডিওসহ নাটক, বিজ্ঞাপন এবং সিনেমায় সাম্প্রতিক সময়ে উচ্চারণের বিকৃতিকে “ভাষা নৈরাজ্য” হিসেবে মন্তব্য করেছেন যোগাযোগ ও ভাষা বিশেষজ্ঞরা।  তাদের মতে, ৫২তে রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে হয়েছিল, আর এখন সেই ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখার সংগ্রাম চলছে।

এফএম রেডিওর আরজেদের বাংলা ইংরেজির মিশ্রণ এবং  বিকৃত উচ্চারণের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঁচমিশালী ভাষার যাত্রা শুরু। একই সাথে বেশ কয়েকজন তরুণ নির্মাতার নাটক ও সিনেমাতেও বিভিন্ন ভাষার মিশ্রণ ও বিকৃত উচ্চারণ প্রকট আকার ধারণ করে। সেই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন, টিভি মিউজিক শো, গেম শো এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিকৃত ভাষার ব্যবহার আস্তে আস্তে বাড়ছে।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের  শিক্ষক রুবায়েত ফেরদৌস বাংলা ভাষার এই বিকৃত ব্যবহারকে “ভাষা নৈরাজ্য” হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘ছোটো বাচ্চারা বড় হয়ে কোন ভাষা ব্যবহার করবে সেটি শিক্ষা দিতে হবে, এমন ভাষা ব্যবহার করবোনা যাতে উচ্চারণে ত্রু টি হতে পারে, ভাষার বিকৃত ব্যবহার হতে পারে কিংবা ভাষা নৈরাজ্য তাদের মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারে।’

দ্রুত ভাষার এই অপপ্রয়োগ বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে বাংলা ভাষার মৌলিকতা ও অস্তিত্ব প্রশ্নের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানীর। তিনি বলেন, ‘এফএম রেডিও যে ভাষা ব্যবহার করছে সেটি হচ্ছে একটি মিশ্রিত ভাষা, যাকে বাংরেজি বলা হচ্ছে, এই শব্দটি শুনলে আমার কাছে ঘেন্না লাগে, আমি বললে হয় বাংলায় নয়তো ইংরেজিতে বলবো, এটি একটি বড় অপরাধ এবং জাতীয় ভিত্তিতে এটি নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ।’

গণমাধ্যমে মিশ্র এবং ইংরেজি ভাষার ব্যবহার বন্ধে গত বছর উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়। আদালতের নির্দেশের পর গণমাধ্যমে বাংলা ভাষার বিকৃতি রোধে কমিটিও গঠন করে তথ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু থামছে না তারপরও।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top