সকল মেনু

টানা অবরোধে বগুড়ার ব্যবসায়ীদের রাস্তায় দোকানদারি

টানা অবরোধে বগুড়ার ব্যবসায়ীদের রাস্তায় দোকানদারিনিজস্ব প্রতিবেদক : টানা হরতাল-অবরোধে বগুড়ার ব্যবসায়ীরা এখন রাস্তায় নেমেছেন। তবে মার্কেট ছেড়ে রাস্তায় নামাটা বিক্ষোভ প্রতিবাদের জন্য নয়, নিজেদের জীবন-জীবিকা আর কর্মচারিদের বেতন পরিশোধের জন্য। লোকসান আর ঋণের বোঝায় ভারী হওয়া এসব দোকান মালিকরা চান আইন করে বন্ধ করা হোক সর্বনাশা হরতাল ও অবরোধ। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, শিগগিরই সরকার ও বিরোধী পক্ষের কাছে যাবেন তারা, সমাধান না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দিবেন তারাও।

বগুড়ার অভিজাত মার্কেটগুলোর সামনে রাস্তায় বসা দোকানগুলো দেখে মনে হয় এটি কোনো হকার্স মার্কেট।কিন্তু বাস্তবতা হলো দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া দোকান মালিকদের একাংশের এগুলো। দিনের পর দিন হরতাল-অবরোধে দোকান বন্ধ থাকায় কর্মচারিরা তাদের বেতন-ভাতা নিতে রাস্তায় বসেছে মালামাল বিক্রি করতে।

দোকান কর্মচারিরা বলেন, ‘আমাদের শো-রুম ভিতরে, গত একমাস হরতালের কারণে আমরা ফুটপাথের ওপর দোকানদারি করছি।  দোকানে বিক্রি নেই, তাই মালিকও আমাদের বেতন দিতে পারছে না।  বাধ্য হয়েই বাইরে বসতে হচ্ছে।’

শুধু কর্মচারিই নয়, তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন হাজার হাজার টাকা মাসিক ভাড়া দেয়া দোকান মালিকরাও।

নিউ মার্কেটের একজন দোকান মালিক বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়েই ৫০ লক্ষ টাকার দোকান ফেলে রাস্তায় বিক্রি করতে বসেছি।  দোকানের ৮-১০ জন কর্মচারির বেতন ভাতা দিতে পারছি না।  সরকারের কাছে এ অচলাবস্থা নিরসনের দাবি জানাচ্ছি।’

চলমান পরিস্থিতিতে দোকান মালিক সমিতির দাবি, আইন করে বন্ধ করা হোক হরতাল আর অবরোধ। আর চেম্বারের নেতারা বলছেন, সরকার ও বিরোধী পক্ষ সমস্যার সমাধান না করলে বৃহত্তর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবেন তারা।

বগুড়া চেম্বার অফ কর্মাস এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ-এর সহ-সভাপতি এনামুল হক দুলাল বলেন, ‘যদি সরকার ব্যর্থ হয়, তবে আমরা নতুন কর্মসূচি দেব’।

বগুড়া জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল খালেক বলেন, ‘আইনগতভাবে হরতাল বন্ধ হোক, তাহলেই আমরা ব্যবসায়ীরা ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ পাবো’।

বগুড়া শহরসহ জেলার ১২টি উপজেলার ৭৮টি মার্কেটে প্রায় ৫০ হাজার দোকানে কাজ করছেন প্রায় ২ লাখ কর্মচারি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top