সকল মেনু

মাতৃভাষা দিবসের ক্রোড়পত্র নিয়ে অনিয়ম ও জালিয়াতি

21-February-ajkersomoy-300x245ডেস্ক: মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ক্রোড়পত্র প্রদান করা হয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে দৈনিক রূপালীদেশসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ক্রোড়পত্র প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। পক্ষান্তরে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি হিসেবে পরিচিত অনেক পত্রিকা ক্রোড়পত্র বাগিয়ে নিয়েছে। খবর দৈনিক মুক্তখবর অনলাইন সংস্করনের
মন্ত্রণালয়ে ঘাপটি মেরে থাকা দুর্নীতিবাজ ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের কারসাজিতেই ক্রোড়পত্র প্রদানে এবার সবচেয়ে বেশি অনিয়ম ও জালিয়াতি বলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ। অনুসন্ধানে এ ব্যাপারে চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে। প্রসঙ্গত, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে এবার জাতীয় ও আঞ্চলিক মিলে মোট ১৯০টি পত্রিকায় ক্রোড়পত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে মূল তালিকায় ১৮০টি পত্রিকার নাম থাকলেও পরে বিশেষ ব্যবস্থায় আরো ১০টি সংযুক্ত করা হয়। তবে তালিকায় নাম নেই দৈনিক রূপালীদেশ, দৈনিক আলোর দিগন্ত, দৈনিক কালবেলা, দৈনিক মুক্তখবর, দৈনিক আলোর বার্তা, দৈনিক রূপবাণীসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বেশ কয়েকটি পত্রিকা। জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজচক্র ক্রোড়পত্র প্রদানের নামে এবার ফ্রিস্টাইল ব্যবসা করেছেন। এ কারণেই অনিয়ম ও জালিয়াতির বিষয়টি প্রকাশ পাচ্ছে না।
দৈনিক রূপালীদেশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যথাযথ নিয়মেই শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ক্রোড়পত্রের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। আবেদনে ঢাকা-৫ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লা এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের জোর সুপারিশ ছিল। কর্তৃপক্ষ পরে বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রোড়পত্র প্রদান সংক্রান্ত সভায় দৈনিক রূপালীদেশের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। কিন্তু দুর্নীতিবাজ চক্রের কারসাজিতে পরে সে নাম পাল্টে যায়।
এতে দৈনিক রূপালীদেশ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক মনি বিস্ময় ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এ ঘটনাকে লজ্জাকর হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামল ছিল দৈনিক রূপালীদেশের জন্য বঞ্চনাকাল। ওই সময়ে শুধু বিজ্ঞাপন থেকে বঞ্চিত করা হয়নি, পত্রিকাটির কণ্ঠ স্তব্ধ করতে এর সম্পাদককেও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। তবে এখনকার পরিস্থিতি ভিন্ন। এখন মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। এ সময়ে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বঞ্চিত হওয়া দুর্ভাগ্যজনকই নয়, চরম হতাশাজনক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top