সকল মেনু

জয়পুরহাটে ১৪দলের সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরন

এসএস মিঠু ,জয়পুরহাট : জয়পুরহাটে ১৪ দলের শান্তি সমাবেশে শক্তিশালী ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনায় কমবেশি সমাবেশ স্থলে থাকা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও জয়পুরহাট জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান রেবেকা সুলতানা (৫৪) সহ কমপক্ষে ২০জন আহত  হয়েছেন।আহতদের মধ্যে ১৭জনকে জেলা আধুুনিক হাসপাতালে ভর্তির পর ৭জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ  ঘটনায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নি সংযোগ সহ  বিএনপি-জামায়াত সর্মথকদের ১টি দোকান ও ১টি অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রোববার বিকাল ৫টা ২১মিনিটের সময় শহরের রেলগেট সংলগ্ন জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরের মুক্তমঞ্চে ১৪দলের শান্তি সমাবেশ চলছিল।সমাবেশের শেষ পর্যায়ে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন-এমপি বক্তব্য শুরুর পর পরই মঞ্চের সামনে পর পর ২টি শক্তিশালী ককটেল বিস্ফোরিত হয়। ককটেলের আঘাতে মহিলা সহ কমপক্ষে ২০/২৫জন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী ও সমর্থক আহত হন। আহতদের মধ্যে মোট ১৭জনকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জয়পুরহাট সদর উপজেলার চকবরকত এলাকার পল্লী চিকিৎসক ডা.ফরিদ উদ্দিন (৫৪),একই উপজেলার খাসপাওনন্দা গ্রামের শাজাহান আলী(৩৭) ও হাবিল  ওরফে বাবুল (৩২), বানিয়া পাড়া গ্রামের মোছাদ্দুল ইসলাম (৩৩),কোচনাপুর গ্রামের তাফিজ উদ্দিন(৫২),শেখ পাড়া গ্রামের মজনু মিয়া(৩৪) ও জয়পুরহাটের সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান,পৌরসভার কুঠিবাড়ি এলাকার আসমা বেগম(৪৫)কে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানাান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি  অন্যরা হলেন জয়পুরহাট সরকারি বাজলা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকার তাজবির হোসেন(২২),জয়পুরহাট সরকারি কলেজের ছাত্র আবু সুফিয়ান(২৫), পৌর এলাকার খনজনপুরের এমদাদুল হক (৪৪),কুঁজিশহরের মতিন সিং (৮৫), আরাম নগরের সালমা বেগম(৪৩), বুলুপাড়া গ্রামের নাজমা বেগম(৩৭),শহরের প্রফেসর পড়ার ফিরোজা বেগম (৫৪), নতুনহাট এলাকার সাগর (২২)  ও জয়পুরহাট চিনিকল স্বর্ণ মন্দির এলাকার মিঠু সিং (৩৪) ।এ ছাড়াও কয়েকজন স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহন করেছেন ।
এ ককটেল বি¯েফারনের ঘটনায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০দলকে দায়ি করে বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকমীর্  ও সমর্থকরা  শহরের ষ্টেশন রোডস্থ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।এর পর পরই  দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।একই সময়ে বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ষ্টেশন রোডে  অবস্থিত সাবেক শহর বিএনপির এবং বর্তমান জেলা পেশাজীবী পরিষদের কার্যালয়,মাছুয়া বাজার এলাকার জামায়াত নেতা ও সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান হাসিবুর আলম লিটনের মালিকাধীন দুটি ব্যবসা  প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর হয়েছে
এ ঘটনায় পুলিশ সুপার আবু কালাম সিদ্দিক জানান, এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।তবে ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top