সকল মেনু

চট্টগ্রামে জঙ্গি আটক নিয়ে র‌্যাবের বিভ্রান্তিকর তথ্য

জঙ্গি আটকরোমান শেখ, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : জেলার হাটহাজারী পৌরএলাকার একটি ভবন থেকে জঙ্গি সন্দেহে র‌্যাবের হাতে আটক হওয়া ২৫ জনকে নিয়ে বিভ্রান্তকর তথ্য দিয়েছে র‌্যাব ৭। আটককৃতদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তকর তথ্যের কারনে বিপাকে পড়ছে গণমাধ্যম কর্মীরা। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় আটকদের সংখ্যা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন খবর ছাপানোর ফলে পাঠকরাও সাংবাদিকদের উপর থেকে আস্থা হারাচ্ছে।
গোপন সংবাদ ভিত্তিতে র‌্যাব ৭ এর একটি দল গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার হাটহাজারীর পৌরএলাকার আলীপুর এলাকার একটি চারতলা ভবনে অভিযান চালিয়ে জঙ্গি সন্দেহে ২৫ জনকে আটক করে। ঐদিনই রাত রাত ৯টা ৩৮ মিনিটে ই-মেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তি ও সাংবাদিকদের মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তায়  ২৫ জনকে আটকের কথা জানিয়ে ছিলো র‌্যাব।
অথচ মাত্র ১৯ ঘন্টার ব্যবধানে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সাংবাদিক সম্মেলনে ২৫ জনকে আটকের কথা অস্বীকার করে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক কর্নেল মিফতা উদ্দিন আহমেদ। তার দাবি ২৫জন আটকের তথ্যটি ভুল।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ২০জনকে আটক করেছিলাম। জিজ্ঞাসাবাদ করে জঙ্গিবাদের সাথে স¤পৃক্ততা না থাকায় আটজনকে ছেড়ে দিয়ে ১২জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছি।
র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক সাংবাদিক সম্মেলনে এমন তথ্য জানালেও একই সময়ে সাংবাদিকদের হাতে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বৃহ¯পতিবার ১২জনকে আটকের কথা উল্লেখ করেন র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক মোঃ সোহেল মাহমুদ। তাঁর সাাক্ষরিত ঐ প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়- ১৯ ফেব্রুয়ারি বৃহ¯পতিবার উক্ত মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে মাত্র ১২জনকে আটক করে র‌্যাব।
মাত্র সাড়ে ১৯ ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর দুটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আটকের সংখ্যা কেন কমে গেলো জানতে চাইলে সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান র‌্যাব-৭ এর  অধিনায়ক।
জঙ্গি সন্দেহে র‌্যাবের হাতে আটককৃতদের নিয়ে এমন বিভ্রান্তকর তথ্য’র কারনে গণমাধ্যেম কর্মীরা সমস্যায় পড়লেও পাঠকেরা এ তথ্যে বিভ্রান্তিতে পড়েছে। প্রশ্ন জেগেছে সঠিক সাংবাদিকতা নিয়েও।
জঙ্গি সন্দেহে আটকদের বিষয়ে প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, আল কায়দার সাব-কন্টিনেন্টের(অঙ্গসংগঠন) হয়ে কাজ করতে প্রশিক্ষণ নেয়া ও দেয়ার অভিযোগে হাটহাজারীর  আবু বকর মাদ্রাসার ১২ ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭। র‌্যাবের দাবি, আরবী শিক্ষার নামে ঐ মাদ্রাসায় জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৩ জন জংঙ্গি প্রশিক্ষক ও ৯ জন প্রশিক্ষণার্থী রয়েছেন। এসময় ঐ মাদ্রাসা
থেকে বেশ কিছু ট্যাব, ক¤িপউটার, ল্যাপটপ এবং মেমোরি কার্ড উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মেমোরি কার্ডে জিহাদ ও জঙ্গি বিষয়ক বিভিন্ন ভিডিও চিত্র ছিলো ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top