সকল মেনু

পপি চাষ: বান্দরবানে মাদক বিরোধী অভিযানে সেনাবাহিনী

পপি চাষ, অভিযানে সেনাবাহিনীবান্দরবান প্রতিনিধি : বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বিশাল পপি ক্ষেত ধ্বংস করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাদক বিরোধী বিশেষ টাস্কফোর্স।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে ২৪টি ক্ষেতের সমস্ত পপি চারা এবং বীজ পুড়িয়ে ফেলা হয়। তবে পপি চাষের সাথে জড়িতদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

শীত মৌসুমে তেমন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বান্দরবান পার্বত্য জেলার পাহাড়ি ঝর্ণা বা ঝিরিগুলোতে তেমন পানি থাকে না। কিন্তু ঝিরির কূলগুলো থাকে কিছুটা ভেজা এবং স্যাঁতস্যাঁতে।

আর দুর্গম এলাকার এ জমি পপি চাষের জন্য খুবই লাভজনক। চলাচলের স্বাভাবিক কোনো পথ না থাকায় ওই সব এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমও তেমন থাকে না। আর এ সুযোগকে কাজে লাগায় মাদক পাচার চক্র। বিশেষ করে বাংলাদেশের আধিবাসী জনগোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় শীত মৌসুমে চলে পপি চাষ।

বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, ‘মূলত শীতের মৌসুমে পপি চাষ হয়ে থাকে। যার ফলে ঐ সময়টাকে কাজে লাগিয়ে কয়েক বছর ধরে এই অপারেশন করা হচ্ছে। এখানে পুলিশ, সেনাবাহীনি, বিজিবি এবং আনসার যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে এই অভিযান করা হয়েছে।’

মাদকবিরোধী অভিযান টাস্কফোর্স প্রধান লে. কর্নেল মিজানুর রহমান বলেন, ‘২৩টা টহল দল এখানে অবস্থান করছে।’

মূলত বান্দরবানের থানছি উপজেলার দুর্গম রেমাক্রি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়েই চলছিলো এ পপি চাষ। সেনাবাহিনীর মাদক বিরোধী বিশেষ টাস্কফোর্স বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে তল্লাশি চালিয়ে ২৪টি পপি ক্ষেত খুঁজে পায়।

এরপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় সবগুলো পপি ক্ষেত।

সেনাবাহিনী বান্দরবান কমান্ডার ব্রিগেড ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের অভিযানটা শুরু হয়েছিল গত ৪ তারিখে এবং আজকে পর্যন্ত আমরা ৪টা জায়গায় অভিযান করেছি।’

এর আগে, দুর্গম পাহাড়ি এলাকা লিক্রি, পান ঝিরি এবং সেপুপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরো ১১টি পপি ক্ষেত ধ্বংস করা হয়। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ মাদক বিরোধী অভিযান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top