সকল মেনু

জাটকা নিধন: শরীয়তপুরে পদ্মা-মেঘনায় নেই নজরদারি

জাটকাশরীয়তপুর প্রতিনিধি : সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শরীয়তপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে জেলেরা অবাধে কারেন্ট জালে জাটকা ইলিশ নিধন করছে।  আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা কম থাকায় অনেকটা বিনা বাধায় বিভিন্ন হাটবাজারে প্রকাশ্যে এসব জাটকা বিক্রি হচ্ছে।  ফলে ভেস্তে যেতে বসেছে সরকারের জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচি।  তবে জাটকা ধরা বন্ধ রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

ইলিশ সংরক্ষণের জন্য প্রতি বছরের মতো, এবারও নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার।  এ নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই প্রতিদিন শরীয়তপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে শত শত নৌকা ট্রলার জাটকা ইলিশ শিকার করছে।

১৬টি ঘাটে প্রতিদিন ৪৫ থেকে ৫০ মণ জাটকা বিক্রি হচ্ছে।  নির্বিচারে জাটকা ধরা কোনোভাবেই বন্ধ করতে পারছে না প্রশাসন।

তবে জেলেরা বলছেন, দাদন পরিশোধ ও সংসার চালানোর জন্যই জাটকা ধরতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

এ সম্পর্কে  জেলেরা বলেন, ‘আমরা পেটের দায়ে জাটকা শিকারে বাধ্য হচ্ছি।  এক্ষেত্রে প্রশাসনের লোকজনকে টাকা দিলে তারা বাধা দেয় না।’

এদিকে, ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, জেলে প্রতিনিধি কমিটি ও পুলিশ যৌথভাবে মাছ ধরতে সহযোগিতা করছে।

এদিকে, কোস্ট-গার্ড না থাকায় জাটকা নিধন শতভাগ বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।

শরীয়তপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘লোকবলের অভাবে আমরা শতভাগ কাজ করতে পারছি না।  আশা করছি, এ মাসের মধ্যে লোকবল বাড়বে তখন পর্যাপ্ত পরিসরে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

অবশ্য জেলা প্রশাসক বলছেন, জাটকা সংরক্ষণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক রাম চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে বেশকিছু অভিযান পরিচালনা করেছি।  এবং এর সাথে জড়িতদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।’

শরীয়তপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর ৩০ কিলোমিটার জুড়ে প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার নৌকা ট্রলার মাছ শিকার করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top