সকল মেনু

‘সহিংসতা বন্ধ না হলে বৈদেশিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে’

imtiz_9792নিজস্ব প্রতিবেদক : শীঘ্রই দেশব্যাপী চলমান সহিংসতা এবং অবরোধ বন্ধ না হলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের তৎপরতা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পররাষ্ট্র বিশ্লেষকরা।

এইসব তৎপরতাকে সাবেক রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জমির খুব একটা গুরুত্ব না দিলেও দীর্ঘ মেয়াদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে তা প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।

দেশব্যাপী চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় যখন পেট্রল বোমায় পুড়ছে মানুষ, ব্যাহত হচ্ছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, তখন একের পর এক উদ্বেগ জানিয়ে চলছে ঢাকাস্থ কূটনীতিক হাইকমিশন এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা।

যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট থেকে শুরু করে জাতিসংঘের এসব উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় রাজনৈতিক দলগুলোকে সহিংসতা পরিহারের পাশাপাশি আহ্বান জানানো হচ্ছে সংলাপেরও।

এ অবস্থায় এসব উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার ফলাফল নিয়ে মিশ্র মত রয়েছে দেশের পররাষ্ট্র বিশ্লেষকদের।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘এই জিনিসটা তারা করতেই থাকবেন এবং মনিটরিং করতে থাকবেন যে সংঘর্ষের মাত্রা যদি আরও বাড়ে স্বাভাবিকভাবে তাদের উদ্বেগও বাড়বে।’

সাবেক রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জমির বলেন, ‘কূটনীতির একটি পরিধি আছে। তার বেশি তাদের কথা বলা উচিত নয় এবং অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করারও কোন প্রয়োজন নেই।’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ জমির কূটনীতিকদের তৎপরতাকে তেমন আমলে নিতে নারাজ। যদিও অধ্যাপক ইমতিয়াজ মনে করেন, ভবিষ্যৎ সহযোগিতার স্বার্থেই বাংলাদেশের উচিত অন্য দেশের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া।

মুহাম্মদ জমির আরও বলেন, ‘যদি অভ্যন্তরীণ এলাকায় বিদেশি কূটনীতিকরা চাপ প্রয়োগ করে কোন কিছু করতে চেষ্টা করেন তবে তাদের মনে রাখতে হবে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হবে পুরো দক্ষিণ এশিয়ায়।’

এক্ষেত্রে নিজেদের সমস্যা নিজেরা সমাধান করতে না পারলে আগামী দিনগুলোতে এ ধরনের কূটনীতিক তৎপরতা আরো বাড়তে পারে বলেও মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top