সকল মেনু

রেড এলার্ট চট্টগ্রাম তেল শোধনাগারে

 রোমান শেখ, চট্টগ্রাম: রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে চট্টগ্রামের তেল শোধনাগারে। দেশের একমাত্র তেল শোধনাগারসহ বিভিন্ন জ্বালানি বিপণন কেন্দ্রে নাশকতার আশংকায় এ রেড এলার্ট জারি করে গোয়েন্দা পুলিশ। ফলে কেন্দ্রগেুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। সিএমপি সূত্র জানায়, তেল শোধনাগারসহ জ্বালানি বিপণন কেন্দ্রগুলোতে নাশকতার আশঙ্কায় রেড এলার্ট জারি করে গোয়েন্দা পুলিশ। এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী জ্বালানি কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান বিপিসি। বিপিসির পরিচালক (বিপণন) মীর আলী রেজা জানিয়েছেন, বিপিসির আওতায় একমাত্র জ্বালানি তেল শোধনাগার এবং পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, এলপিজিসহ প্রায় সাতটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে চট্টগ্রামে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সারা দেশে জ্বালানি তেল ও গ্যাস সরবরাহ করা হয়। কিন্তু বিরোধীদলের ডাকা হরতাল-অবরোধের পাশাপাশি বিভিন্ন হিংসাত্মক কার্যকলাপের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এসব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠে। এর মধ্যে গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় এসব কেন্দ্রে অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়। ফলে, বিপিসি এ ব্যাপারে তেল শোধনাগারসহ বিভিন্ন জ্বালানি বিপণন কো¤পানিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গত বৃহ¯পতিবার নির্দেশনা দেয়। বিষয়টি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকেও জানানো হয়েছে। জ্বালানি খাতের নিরাপত্তা বিষয়ে সিএমপি ভারপ্রাপ্ত কমিশনার শহিদুর রহমান ও তেল শোধনাগার ও জ্বালানি বিপণন কেন্দ্রগুলোতে রেড এলার্ট জারির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণ এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরাপত্তা বিধানে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আছি। এছাড়া সাদা পোষাকেও আমাদের লোকজন কাজ করছে। চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি বিষয়ক স্থাপনাগুলোর মধ্যে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড, পদ্মা অয়েল কো¤পানি লিমিটেড, যমুনা অয়েল কো¤পানি লিমিটেড, মেঘনা অয়েল কো¤পানি লিমিটেড, এলপি গ্যাস লিমিটেড, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস এবং স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কো¤পানি লিমিটেড অন্যতম। এসব জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশ দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনসহ, মানুষের যাতায়াত এবং গুপ্তখাল নামক এলাকার ওভারব্রিজ সন্নিহিত কর্ণফুলী নদীতে যাত্রী বহনকারী অসংখ্য সা¤পানে হাজার হাজার লোক প্রতিদিন যাতায়াত করে। এছাড়াও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তটিও এসব প্রতিষ্ঠানের খুবই কাছাকাছি। এ ব্যাপারে বিপিসির একজন কর্মকর্তা জানান, ইতিমধ্যে আমরা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি এবং সতর্কতা অবলম্বন করেছি। আশা করি, আমাদের ব্যবস্থা স্থাপনাগুলোকে নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top