নিজস্ব প্রতিবেদক : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া ব্লুম বার্নিকাট। রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরুর চার দিন পর সোমবার সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এই সাক্ষাৎ করলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের জানান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে তার।

এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন  মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

ওই সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বার্নিকাট বলেছিলেন, দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো গভীর করতে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। মার্কিন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এ দেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলাসহ দ্বিপাক্ষিক ইস্যুগুলো নিয়েও কাজ করবেন তিনি।বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে এই বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে উল্লেখ আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বাংলাদেশ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আরো খোলামেলা কথা বলবেন বলে জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

গত ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নিতে ঢাকায় আসেন মার্শিয়া ব্লুম বার্নিকাট। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৫তম রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি ড্যান মজীনার স্থলাভিষিক্ত হলেন।মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মার্শিয়া বার্নিকাট ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে শপথ নিয়েছেন। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ঢাকায় এলেন তিনি। গত বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্য এখনো কাটেনি।গত বছরের ২২ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ১৫তম রাষ্ট্রদূত হিসেবে মার্শিয়া বার্নিকাটকে মনোনীত করেন। ১৭ জুলাই মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির শুনানিতে অংশ নিয়ে তিনি ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ‘নিঃসন্দেহাতীতভাবে ত্রুটিপূর্ণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে আরও বেশি প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার নিশ্চিত করতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে তিনি সংলাপে বসারও আহ্বান জানিয়েছিলেন। শুনানিতে তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন। মার্কিন সিনেটের অনুমোদন পাওয়ার পর ১৭ নভেম্বর বারাক ওবামা তাঁর মনোনয়ন চূড়ান্ত করেন।নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার পর মার্শিয়া বার্নিকাট তাঁর টুইট অ্যাকাউন্টে বলেন, ‘আমি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সহকর্মীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে বাংলাদেশের জনগণ, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার অপেক্ষায় আছি।’