সকল মেনু

ত্রিপুরা বাণিজ্য মেলায় ক্রেতা আকৃষ্ট করেছে বাংলাদেশী পণ্য

ত্রিপুরা বাণিজ্য মেলানিজস্ব প্রতিবেদক : ত্রিপুরা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রিজের উদ্যোগে ২৯ জানুয়ারি থেকে ভারতের আগরতলায় শুরু হয়েছে ত্রিপুরা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। বাংলাদেশী প্লাস্টিক, সিমেন্ট, স্টিল ফার্নিচার ও খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানসহ ৩৮টি প্রতিষ্ঠান এ মেলায় অংশ নিচ্ছে।

গুণ ও মানের কারণে মেলায় ক্রেতাদের মন জয় করেছে বাংলাদেশী পণ্য। তাই সেখানকার ব্যবসায়ীরা আগামীতে মেলায় আরো বেশি বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ চান।

১৯৯৭ সাল থেকে ত্রিপুরা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশী বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে শিল্পে অনগ্রসর হওয়ায় প্রতিবছরই মেলায় বাংলাদেশী পণ্যের জন্য মুখিয়ে থাকে ত্রিপুরাবাসী।

প্রাণের স্বাদে ভরা মুখরোচক খাবার, পানীয় ও আর এফ এল প্লাস্টিকের নাম সেখানে সবার মুখে মুখে। বাণিজ্য মেলাতেও দেখা গেছে এ দুটি স্টলে ক্রেতাদের অনেক ভিড়।

ক্রেতারা জানান, প্রাণের পণ্য অন্য সবার তুলনায় মানে ও গুণে ভালো। তাই এর আগ্রহটা বেশি।

বাংলাদেশী সিমেন্ট, স্টিল ও ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীরও ব্যাপক চাহিদা আছে ত্রিপুরায়। অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান,ভিসা জটিলতা ও রপ্তানির প্রক্রিয়া সহজ হলে পণ্যের প্রসার বেশি হতো।

ডায়মন্ড সিমেন্টের পরিচালক লায়ন হাকিম আলী বলেন, ‘ডায়মন্ড সিমেন্ট বাংলাদেশের অন্যতম ভালো ব্র্যান্ড। তাই এর প্রচার ও প্রসার বাড়ানোর লক্ষে ত্রিপুরায় স্টল দিয়েছি।’

বিএসআরএম সহকারী ব্যবস্থাপক জিয়াউল হক বলেন, ‘দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখানে পণ্যের প্রসার ঘটাতে চাই ত্রিপুরাতে।’

সুপার স্টার গ্রুপের ব্যবস্থাপক কাজী মহিউদ্দিন জিলানী জানান, ‘কাস্টমস এর সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে পণ্যের প্রসার ও ব্যবসাকে আরো লাভবান করা সম্ভব।’

মেলায় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী  জামদানি ও অন্যান্য শাড়ি পেয়েও খুশি ত্রিপুরার নারীরা।

গেল বছর ত্রিপুরায় সাড়ে তিনশো কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এখানে বাংলাদেশী পণ্যের ভালো বাজার আছে জানিয়ে আরো বেশি প্রতিষ্ঠানকে মেলায় অংশগ্রহণের পাশাপাশি একক মেলা আয়োজনের আহবান জানিয়েছেন ত্রিপুরা চেম্বারের সভাপতি।

ত্রিপুরা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রিজের সভাপতি এম এল দেবনাথ বলেন, ‘ত্রিপুরায় বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা অনেক। তাই এখানে বেশি বেশি বাংলাদেশি পণ্যের স্টল বসবে আশা করি।’

মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে ২৯ জানুয়ারি এ মেলার উদ্বোধন করেন ত্রিপুরার বাণিজ্য মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী। ৯ ফেব্রুয়ারি ১২ দিনব্যাপী এ মেলা শেষ হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top