সকল মেনু

বিশ্ব ক্যান্সার দিবস: দেশে বেড়েছে রোগী, বাড়েনি চিকিৎসা সুবিধা

বিশ্ব ক্যান্সার দিবসনিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে প্রতিবছর ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়লেও বাড়েনি চিকিৎসা সুবিধা। প্রতি ‘এক লাখ লোকের জন্য একটি’ ক্যান্সার নির্ণয় কেন্দ্র থাকার সুপারিশ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

সেই হিসেবে ১৬০ টির পরিবর্তে সারাদেশে রয়েছে মাত্র ১৫টি কেন্দ্র; যেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা মাত্র ১২৫ জন। এমন অবস্থায় বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মতো বাংলাদেশেও আজ পালিত হচ্ছে-বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য-‘ক্যান্সার নিরাময় অসাধ্য নয়’।

মোহাম্মদ ফাহিম নামের তিন বছরের শিশুটি অসুস্থ হলেও তার কথার জাদুতে মাতিয়ে রাখে সবাইকে। বিষয়টি আনন্দের হলেও দু:শ্চিন্তায় সময় কাটে তার বাবা মায়ের।

এদিকে, নিজের জীবনের চেয়েও সন্তানের প্রতি বেশি মায়ার কারণে বেঁচে থাকতে চান সুজাতা মণ্ডল। দু:শ্চিন্তা তার পরিবারেরও। কারণ: দুজনেরই শরীরে ধরা পড়েছে ক্যানসার।

আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবো ক্যানের তথ্যমতে, দেশে প্রতিবছর আক্রান্ত হচ্ছেন ১লাখ ২২ হাজার নতুন রোগী। যাদের মধ্যে নব্বই হাজারেরও বেশি লোককে বাঁচানো সম্ভব হয় না।

এই বিষয়ে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসাকন বলেন, ‘রোগটি যখন খুব কঠিন আকার ধারণ করে তখন আমাদের কাছে আসেন, কিন্তু আমাদের তেমন কিছুই করার থাকেনা, গ্রামাঞ্চল থেকে বেশি আসেন, এক্ষেত্রে প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমরা পৌছাতে পারিনি।’

গবেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে মাদক ও তামাকজাত দ্রব্য বেশি গ্রহণের কারণে শতকরা ৬০ ভাগ ও খাদ্যাভ্যাসের ত্রুটিসহ অন্যান্য কারণে বাকি চল্লিশ ভাগ লোক ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।

এই বিষয়ে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. মো. মফিজুর রহমান বলেন, ‘কিছু কিছু ক্যান্সার বয়স্কদের বেশি হয়, আবার কিছু কিছু শিশুদেরও হয়।’

সংশ্লিষ্টদের মতে, সবচেয়ে বড় ঘাটতি ক্যান্সার চিকিৎসায়। সরকারি বেসরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোর বেশিরভাগই রাজধানীতে থাকায় চিকিৎসা বঞ্চিত বেশিরভাগ রোগী।

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মোয়াররফ হোসেন বলেন, ‘১৬ কোটি মানুষের জন্য ১৬০টি ক্যান্সার সেন্টার দরকার, কিন্তু আমাদের দেশে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ১৫টি ক্যান্সার সেন্টার আছে, অধিকাংশ মানুষ সরকারি হাসপাতালে ভিড় করে, তাদের জন্য আমাদের যতটুকু করা দরকার আমরা সেটি দিতে পারছি না।’

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন- ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পরিবর্তে আপাতত জেলা শহরের হাসপাতালগুলোতে টেলিমেডিসিন সেবা চালু করেও পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top