সকল মেনু

এক চুলা ৮৫০ ও দুই চুলা হাজার টাকা করার প্রস্তাব

39985_1নিজস্ব প্রতিবেদক : গৃহস্থলী কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ১২২.২২ শতাংশ হারে বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। বর্তমানে গৃহস্থালী কাজে ব্যবহৃত এক চুলার মূল্য (সিঙ্গেল বার্নার) চারশ’ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮৫০ টাকা এবং দুই চুলার (ডাবল বার্নার) মূল্য ৪৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার টিসিবি অডিটরিয়ামে মঙ্গলবার সকালে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবটি তুলে ধরেন কোম্পানিটির পরিচালক (ফিন্যান্স) শঙ্কর কুমার দাস। এ ছাড়া তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি) প্রকৌশলী নওশাদ ইসলাম, ডিজিএম (অপারেশন্স) রানা আকবর হায়দারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত আছেন।
তিতাসের প্রস্তাব অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত প্রতি হাজার ঘন মিটার গ্যাসের বর্তমান দর ৭৯.৮২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮৪ টাকা, সার উৎপাদনে ৭২.৯২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা, ক্যাপটিভ পাওয়ার ১১৮.২৬ টাকা থেকে ২৪০ টাকা, বাণিজ্যিকে ২৬৮.০৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা, চা বাগান ১৬৫.৯১ থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা, সিএনজি ৮৪৯.৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ১৩২.৬৭ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

তিতাসের প্রস্তাবে আরও বলা হয়- সম্পদ হিসেবে প্রতি হাজার ঘন মিটার গ্যাসের মূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। এ কারণে বিভিন্ন শ্রেণীর গ্রাহকের গ্যাসের দাম পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত প্রস্তাব বিইআরসিতে প্রেরণের নির্দেশনা রয়েছে।
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির বিপরীতে আদায়কৃত ২৫ টাকার ৫৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও মূসক এবং ৪৫ শতাংশ পণ্যমূল্য হিসেবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হওয়ায় অর্থযোগান বৃদ্ধি পাবে বলে তিতাসের পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হয়।

বৃহত্তর ঢাকা ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকায় গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে রাষ্ট্রীয় এ কোম্পানিটি। মোট গ্রাহক সংখ্যা রয়েছে ১৭ লাখ ২২ হাজার ৭১২ জন।
গণশুনানী গ্রহণ করছেন বিইআরসি’র চেয়ারম্যান এ আর খান, সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ, প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন, মাকসুদুল হক ও রহমান মুরশেদ।

শুনানীতে কনজ্যুমারস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত আছেন।
দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবারতিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের শুনানী শেষে বিকেলেও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাবের ওপর শুনানী অনুষ্ঠিত হবে।

৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি হবে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির। শেষ দিন ৫ ফেব্রুয়ারি জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড ও সুন্দরবন গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির প্রস্তাবের বিষয়ে শুনানি হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top