সকল মেনু

হরতালে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে কোন প্রভাব পড়েনি

সাতক্ষীরাসাতক্ষীরা প্রতিনিধি : দেশব্যাপী টানা ৭২ ঘন্টার হরতালের দ্বিতীয় দিনে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে কোন প্রভাব পড়েনি। অন্যান্য দিনের মতই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিলো। বন্দর ব্যবহারকারী সিএন্ডএফ এজেন্ট ও ব্যবসায়ীরা এলসি খুলেছে অন্যদিনের ন্যায়। তাছাড়া রাজস্ব আহরনেও তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব আসেনি বলে জানান বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, রোববার সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পন্যবাহী গাড়ী এসেছে ৩৮১টি । সেখানে রোববার হরতালে গাড়ী ঢুকেছে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২০০ শতাধিক। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৩৭০ থেকে ৩৮০টি গাড়ী ঢুকতে পারে বলেও জানান তিনি। তাছাড়া শনিবারে রাজস্ব আয় হয়েছে ২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। সেখানে গতকাল রাজস্ব আহরনও প্রায় তিন কোটির কাছাকাছি যেতে বলে জানান সুত্রটি।
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী এসোসিয়শনের সাধারন সম্পাদক মো. অহিদুল ইসলাম বলেন, অন্য কোনো সময়ের তুলনায় সম্প্রতিকালের হরতালে ভোমরা বন্দরে নুন্যতম কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বরং হরতালে ভোমরা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি অন্য সময়ের তুলনায় বেশি হচ্ছে। কারন দেশের অন্যসব বন্দরে হরতালে ব্যাপক ঝুকি পোহাতে হয় ব্যবসায়ীদের। কিন্ত ভোমরা বন্দরে সে রকম কোনো নেই ব্যবসায়ীদের। ফলে ব্যবসায়ীরা হরতালেও নিরাপদে ভোমরা আমদানি-রপ্তানি করতে পারছে এখানে।
ভোমরা বন্দরের দায়িত্ব থাকা কাস্টমস্রে বিভাগীয় সহকারী কমিশনার তারেক মাহমুদ বলেন, গত ৫ জানুয়ারীর পর থেকে রেকর্ড পরিমান রাজস্ব অর্জিত হয়েছে ভোমরা বন্দরে। তিনি আরো বলেন, শুধু জানুয়ারীতেই ৫০ কোটি টাকার রাজস্ব আহরন হয়েছে সরকারের। ফলে ভোমরা বন্দরে হরতালের সামান্যতম প্রভাব নেই বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top