সকল মেনু

বিভাগ করার সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বসিত ময়মনসিংহবাসী, দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : দেশের অষ্টম বিভাগ করার সিদ্ধান্তে আনন্দে উচ্ছ্বসিত ময়মনসিংহ অঞ্চলের মানুষ। প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে চলছে আনন্দ মিছিল-শোভাযাত্রা। বিভাগ ঘোষণায় আওয়ামী লীগের সাথে দারুণ খুশি বিএনপি নেতারাও। আর দ্রুত বিভাগের কার্যক্রম শুরুর করার দাবি জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া জেলা নাগরিক আন্দোলনের নেতারা।

ঢাকা বিভাগকে ভেঙ্গে বৃহত্তর ময়মনসিংহের সমন্বয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ করার সিদ্ধান্তে আনন্দের জোয়ারে ভাসছে ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রাচীনতম এ জনপদ। গত রোববার প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এবং সোমবারের মন্ত্রীসভার বৈঠকে ময়মনসিংহ বিভাগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় উচ্ছ্বসিত ময়মনসিংহবাসী। ময়মনসিংহ বিভাগ হওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি কমার পাশাপাশি ঢাকার ওপর চাপ কমবে বলে মনে করেন তারা।

maymansingময়মনসিংহবাসী কয়েকজন বলেন, ‘প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজে আমাদের ঢাকায় যেতে হতো, এখন সে কষ্টটা কমে গেল। আমরা চাই সরকার দ্রুত এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে।’

এদিকে রাজনীতির মাঠে বিপরীতমুখী অবস্থান থাকলেও ময়মনসিংহকে বিভাগ ঘোষণার সরকারি সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের সঙ্গে খুশি বিএনপি নেতারাও।

ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মুজিবুর রহমান খান মিল্কী বলেন, ‘ময়মনসিংহকে বিভাগ করার সিদ্ধান্তে আমাদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাই। এটা আওয়ামী লীগের জন্য খুবই গৌরবের বিষয়।’

ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ কে এম মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘কোন সরকার করলো, তা বড় কথা নয়; আমরা ময়মনসিংহকে বিভাগ হিসেবে পেয়েছি- এটাই বড় কথা। আমাদের পক্ষ থেকে সরকারকে ধন্যবাদ।’

আর বিভাগের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া জেলা নাগরিক আন্দোলনের নেতারা সরকারের সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত বিভাগের কার্যক্রম শুরুর দাবি জানিয়েছেন।

ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলন সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান খান বলেন, ‘ময়মনসিংহ বিভাগের দ্রুত বাস্তবায়ন চাই, সেই দিন ও ক্ষণটির জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। দাবি যদি যৌক্তিক হয়, সফলতা একদিন আসবেই- এটা তারই প্রমাণ।’

বৃহত্তর ময়মনসিংহের জামালপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলায় প্রায় আড়াই কোটি মানুষের বাস। বর্তমানে ময়মনসিংহে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ১৫টি বিভাগীয় কার্যালয় রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top