সকল মেনু

গুলশান কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ছিল নিছক ছলনা : রিজভী

81568_Risbiiiiieeeeeনিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সহানুভূতি জানাতে তার গুলশান কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন নিছক ছলনা ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সরকার ‘হিংস্র অমানবিকতার’ আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

রবিবার এক বিবৃতিতে রিজভী আহমেদ এ মন্তব্য করেন।

যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, কতখানি নিষ্ঠুর ও বিবেকশূন্য হলে একটি সরকার এ জঘন্য অপকর্মটি করতে পারে, তা দুনিয়াতে মনে হয় নজিরবিহীন। এই ভোটারবিহীন সরকার মনুষ্যত্বের সকল বৈশিষ্ট্যগুলোকে জলাঞ্জলি দিয়েছে।

রিজভী বলেন, কোকোর মৃত্যুতে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ করতে আসাটাকে আমরা ইতিবাচক অর্থেই গ্রহণ করেছিলাম। রাজনীতির বাইরে সামাজিক দায়িত্ববোধের তাগিদেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে আসছেন বলে ধরে নিয়েছিলাম। কিন্তু খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় এটা সুস্পষ্ট যে কোকোর মৃত্যুর সংবাদে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে সহানুভূতি জানাতে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ছিল নিছকই ছলনা, একটি প্রহসনের মহড়ামাত্র। কোকোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর সমবেদনা জানানোটা যেন কুমিরের কান্না।

চলমান আন্দোলনের বিরুদ্ধে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করার জন্যই খালেদা জিয়াসহ নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সরকারের এজেন্টরাই বিভিন্নস্থানে বাসে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করছে দাবি করে বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, সরকার অনেক দিন ধরেই বেগম জিয়াকে কারাগারে বন্দি করার নীল নকশা এঁটে আসছে। বেগম জিয়াকে দায়ী করে আটক করার জন্যই একের পর এক পেট্রল বোমা মেরে নাশকতা চালাচ্ছে।

সরকারের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনেই কোকোর মৃত্যু হয়েছে দাবি করে রিজভী আহমেদ বলেন, এই অবৈধ সরকার ও তাদের আন্দোলনের ফসল ১/১১ এর সরকারের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনে প্রায় সাড়ে সাত বছর ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। ২০০৭ সালের মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সরকার কোকোকে আটক করে তার ওপর অমানসিক অত্যাচার চালানো হয়। এ অত্যাচারেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। এরপর আওয়ামী মহাজোট সরকার একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করতে থাকে কোকোর বিরুদ্ধে। মায়ের কাছ থেকে সন্তান ও তার পরিবারকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের ফলে অসুস্থতায় ভুগতে ভুগতে শনিবার আরাফাত রহমান কোকো মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

তিনি বলেন, সরকার একক রাজত্ব চালিয়ে যেতে নিজেদের পথের বাধা দূর করতেই জিয়া পরিবারকে ধ্বংসের চক্রান্তে মেতে উঠেছে।

সরকারকে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে রিজভী বলেন, অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসনসহ সকল নেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় এ অবৈধ সরকারকে ভয়াবহ পরিণতির জন্য আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না।

যাত্রাবাড়ীতে পেট্রল বোমা হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান তিনি। দগ্ধ মানুষের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানান রিজভী আহমেদ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top