সকল মেনু

কুলাউড়ায় স্বেচ্ছাশ্রমে গুঙ্গিজুরী খাল খনন

Kulaura Rastaমৌলভীবাজার প্রতিনিধি: কুলাউড়া উপজেলাধীন ভূকশিমইল ইউনিয়নের ভূকশিমইল, জালালপুর, মদনগৌরী, মহেষগৌরী, গৌড়করন, কুরবানপুর, এ ছয় গ্রামের হাজার হাজার কৃষক বুকভরা আশা উদ্দীপনা নিয়ে কার্তিক-অগ্রহায়ন মাসে বুরোধান রোপন করে। কিন্তু মাঘ ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে পানির অভাবে হালালুকি হাওরের দক্ষিন পাড়ের ঐ গ্রামগুলোর কৃষকের রোপনকৃত ধান পানির অভাবে মারা যায়। প্রতি বৎসর একইভাবে কৃষকদের বুরোধান নষ্ঠ হওয়ায় কৃষকরা আশাতিত ফসল না পাওয়ার কারনে সর্বশান্ত হয়ে দিন দিন পথে নামতে বসেছে। কৃষিতে যে টাকা ফসলের জন্য খরছ করে সে টাকা ও তাদের ঘাটতি হয়। তাই হাজার হাজার কৃষক পরিবার গুলোর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ভূকশিমইল ইউনিয়ন জনস্বার্থ সংরক্ষন সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক মোঃ আমিন উদ্দিন গত বছরের ২০ নভেম্বর বর্নিত গ্রামের কৃষক, সুশীল সমাজ ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে গুঙ্গিজুরী খাল খননের লক্ষে গৌড়করন মাদ্রাসা বাজারে এক সাধারন সভার আয়োজন করেন। সভায় কৃষি ক্ষেতের উন্নয়নের লক্ষে কৃষকের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দিক আলোচনা করে সর্ব্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে গুঙ্গিজুরী খাল জুড়ী উপজেলার কন্টিনালা হইতে খনন করে উগলা বিল ও তুরল বিলের মধ্য দিয়ে গৌড়কুড়ী বিলের পাশ দিয়ে কাটাখালি খাল হয়ে ইসলামগঞ্জ বাজার সংলগ্ন নদীতে সংযোগ করলে অত্র এলাকার কৃষকের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ দুর হবে এবং দিগুন ফসল উৎপন্ন হবে। এ লক্ষে খনন কার্য সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করার জন্য ভূকশিমইল গ্রামের আমিন উদ্দিন, হাজী তাহির মিয়া, বর্তমান ইউপি সদস্য ইলিয়াছ আলী, গৌড়করন গ্রামের মজমিল আলী, শওকত আলী, নামর আলী, আজাদ আলী, মদনগৌরী গ্রামের সুয়াগ মিয়া, কুরবানপুর গ্রামের চিনু মিয়াকে দায়িত্ব দেয়া হয়। উল্লেখিত ব্যক্তিগন দায়িত্ব নিয়ে গ্রামে গ্রামে অর্থ সংগ্রহ করে  গত ৪ জানুয়ারী থেকে এক্রেলেটার মেশিন দিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার খাল খননের কাজ শুরু করেন এবং এ পর্যন্ত জনসাধারনের স্বেচ্ছাশ্রমে ১৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৯৫ভাগ কাজ সম্পন্ন করেন। উদ্দ্যোক্তাদের ধারনা ২/১ দিনের মধ্যে শতভাগ কাজ সম্পন্ন হবে এবং খননকৃত খাল দিয়ে পানি আসবে। তখন কৃষকের সেচের পানির আর কোন সমস্যা থাকবে না। বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার, কৃষকের স্বার্থ রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষে কর্ম পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। তাই সরকারের নিকট এলাকাবাসীর প্রানের দাবি বণির্ত খাল খননের একটি প্রজেক্ট সরকারী ভাবে নিলে খালটি আরো অনেক বড় করাসহ গভীর হবে ও বেশি পানি ধারন করবে। এতে করে অতি খরায়ও হাকালুকি হাওরের দক্ষিন পাড়ের বুরো ধানের ক্ষতির সম্ভাবনা কম হবে। সেইসাথে ভাল ফসল উৎপাদন হয়ে দেশের খাদ্য ঘাঠতির সহায়ক হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top