সকল মেনু

চাঁদপুরের মেঘনায় জাহাজের ধাক্কায় জাহাজ ক্ষতিগ্রস্থ, দোষীদের আড়াল করে মামলা দায়ের

IMG_20150121_103228মাকসুদুল আলম, চাঁদপুর প্রতিনিধি : গত মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডি ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকায় চট্রগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জের দিকে যেতে নেয়া চিনা মাটি বোঝাই লাইটার জাহাজ এম ভি সোয়াদ ডুবির ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা হয়েছে। সোয়াদ জাহাজের মাষ্টার মোঃ জাহাঙ্গির আলম বাদি হয়ে মঙ্গলবার রাত ১০ টা ৪০ মিনিটে এই মামলা দায়ের করে। মামলায় দুর্ঘটনার জন্য তিনি এম ভি সিরাজুল ইসলাম-০১ নামের অপর আরেকটি কার্গো জাহাজের মাষ্টার গোলাম মাওলাসহ ওই জাহাজের অজ্ঞাতনামা স্টাফদের দায়ি করে দুর্ঘটনায় তার জাহাজের ক্ষতির পরিমাণ পাঁচ কোটি টাকা বলে দাবি করেন। পুলিশ বাংলাদেশ দন্ডবিধির ২৮০, ৪৩৭ এবং ৫০৬ ধারায় মামলাটি রেকর্ড করে তা তদন্তের জন্য সদর মডেল থানার এস আই হামিদুল হক’কে প্রদান করেছে।
কিন্তু ওই মামলাকে মিথ্যা ও হয়রাণীমূলক বলে দাবি করেছেন সিরাজুল ইসলাম-১ এর চালক গোলাম মাওলা। তিনি জানান, তার জাহাজ ওই দুর্ঘটনার সাথে কোনভাবেই দায়ী নয়। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, নারায়ণগঞ্জের ইর্স্টান সমিন্টে ফ্যাক্টরগিামি এম ভি সাগরের আলো-২ নামের ক্লিংকার বোঝাই লাইটারটি চট্রগ্রাম থেকে  আরেকটি লাইটার জাহাজ এম ভি সোয়াদ জাহাজকে মাঝ বরাবর ধাক্কা দেয়। লাইটারের ধাক্কাতেই সোয়াদ জাহাজ মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং এর একটি অংশ নদীতে ডুবে যায়। সোয়াদ জাহাজকে ধাক্কা দেয়ার কারণে সাগরের আলো জাহাজটিও ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং এর সামনের অংশ ফুটো হয়ে ভেতরে পানি প্রবেশ করতে থাকে। এই অবস্থায় সাগরের আলো’র চালক দ্রুত জাহাজটি চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের দিকে নিয়ে যায়। সেখানে যেয়েই সাগরের আলো জাহাজ কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে পণ্য খালাসের জন্য ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল বরাবর আবেদন করে জাহাজের পণ্য দ্রুত খালাস করে নেয়। এম ভি সাগরের আলো-২ জাহাজটি বর্তমানে ইষ্টার্ণ সিমেন্ট ফ্যাক্টরি ঘাটে রাখা আছে। যার আলোকচিত্র ও পণ্য খালাসের ভিডিও ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। অথচ প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট ও হয়রাণী করার উদ্দেশ্যে মামলা করা হয়েছে এম ভি সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
উল্লেখিত বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল কাইয়ুমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে এবং তার ভিত্তিতেই মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত সত্য বের করে আনবে এবং কেউ যদি মিথ্যা ও হয়রাণীমূলক মামলা দায়ের করে থাকে তাহলে তদন্ত শেষে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো জানান, ঘটনাটি যেহেতু খুব সকালের দিকে ঘটেছে। সেহেতু ঘন কুয়াশার কারণে সোয়াদ জাহাজের চালক হয়ত তাৎক্ষণিক বুঝতে পারে নি তার জাহাজকে কে ধাক্কা দিয়েছে। তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top