ডাঃ জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : অব্যহত শৈত প্রবাহ ও কনকনে ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রাম। ঠান্ডার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীত জনিত রোগ। হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছে অসংখ্য রোগী। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত নানা রোগের প্রকপ। গত ১২ ঘন্টায় কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ১ শিশু মারা গেছে। ১০০ শয্যা বিশিষ্ট কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে ২শ রোগী। এছাড়াও প্রতিদিন আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় ৩ শতাধিক রোগী। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশী। শয্যা সংকুলান না হওয়ায় অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছে মেঝে ও বারান্দায়। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৬ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জন রোগী। অন্যদিকে শিশু ওয়ার্ডে ১১ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ জন শিশু । গত ১২ ঘন্টায় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর অবিভাবকরা জানান,ঠান্ডা ও শীতের কারনে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগে শিশুরা আক্রান্ত হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ নজরুল ইসলাম জানান, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সদর হাসপাতালে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে শিশুরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীত জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গত ১২ ঘন্টায় ১ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আমরা সাধ্যমত চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি।  শৈত প্রবাহ ঠান্ডার কারনে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবি ও নি¤œ আয়ের মানুষজন। ঠান্ডায় কাজে বেরুতে না পারায় চরম দুর্ভোগে আছে তারা। অন্যদিকে গরম কাপড়ের অভাবে নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপচরের হত দরিদ্র মানুষজন নিদারুন শীত কষ্টে ভুগছে। রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আতিকুর রহমান জানান, কুড়িগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় আজ সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৮ডিগ্রি সেলসিয়াসে রেকর্ড করা হয়েছে।