সকল মেনু

চাঁদপুরের মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে কৃষকরা বোরো আবাদে ব্যস্ত

Boroশাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম, চাঁদপুর প্রতিনিধি : মতলব উত্তর উপজেলায় অবস্থিত মেঘনা-ধনাগোদা সেচ ত্রকল্পের কৃষকরা এখন বোরোর চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে। আমনের উৎপাদন ভালো না হওয়ায় ও গোলায় উঠানো ধানের দাম কম পাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছে এ উপজেলার কৃষকরা। বোরো চাষের মাধ্যমে এ লোকসান কাটিয়ে ওঠার বুক ভরা আশা নিয়ে কৃষকরা ৯ হাজার ৬শ’ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের আবাদ শুরু করেছে।
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের সেচ সুবিধা শুরু হওয়ার আগেই কৃষকরা শ্যালো মেশিনের সেচের মাধ্যমে বোরো রোপণ শুরু করেছিলো। মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের সেচ সুবিধার উদ্বোধন পয়লা জানুয়ারি করলেও পুরোদমে সেচ শুরু করে মধ্য জানুয়ারির পর। পানি সেচ শুরুর সাথে সাথে কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে বোরো রোপণে পুরোদমে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে হাজার হাজার কৃষক। বীজতলা তুলতে ব্যস্ত নারী ও শিশুরা।
মতলব উত্তর উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৪ টি ইউনিয়নের ১৭ হাজার ৫৮৪ হেক্টর জমি নিয়ে অধিক কৃষি পণ্য উৎপাদনের উদ্দেশ্যে ১৯৭৯-৮০ অর্থ বছরে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্মাণ শুরু হয় এবং ১৯৮৭-৮৮ অর্থ বছরে এর কাজ শেষ হয়। এ সেচ প্রকল্প নির্মাণ শেষ হওয়ার পর থেকে এবারই আগেভাগে পানি সেচ দেয়া হয়েছে।
কৃষিবিদরা জানান, ১৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বীজতলা করার উপযুক্ত সময়। ১৫ ডিসেম্বর থেকে জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করতে হয়। ধানের চারার বয়স ২১ দিন থেকে ৪০ দিনের মধ্যে জমিতে রোপণ করতে হবে। ৪০ দিনের চেয়ে চারার বয়স বাড়তে থাকলে ক্রমেই উৎপাদন কমতে থাকবে। চারার বয়স বেশি হওয়াতে সেচ প্রকল্প নির্মাণের পর থেকে ২০১৩ সাল পর্ষন্ত বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। গত মৌসুমে বিগত মৌসুমের চেয়ে সেচ আগে দেয়ায় ফলন ভালোই হয়েছে। এবার সেচ আরো আগে দেয়ায় ফলন আরো ভালো হবে বলে কৃষকরা মনে করছেন। কৃষকরা জানান, এবার আমরা আগেই পানি পেয়েছি। আমরা এখন বোরো ধানের চারা রোপণ করতে ব্যস্ত। সার, ঔষধ, চারা, চাষ ও শ্রমিক খরচ বেশি। ভালো ফলনের মাধ্যমে লাভবান হওয়ার আশা নিয়ে আমরা বোরো ধান রোপণ করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম মজুমদার জানান, আমরা জানুয়ারির শুরুতেই পানি দেয়ার জন্য বলেছি। সেচ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ বিগত বছরের চেয়ে আগেই পানি দিয়েছে। কৃষকরা পানি পেয়ে বোরো ধান রোপণে মাঠে নেমে পড়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পড়লে বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top