নিজস্ব প্রতিবেদক : অবশেষে দীর্ঘ ১৫ দিনের টানা অবরুদ্ধ দশা থেকে মুক্তি পেল সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়। কার্যালয়ের সামনে থেকে অতিরিক্ত পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কার্যালয়টির সামনে ও এর আশ-পাশের অতিরিক্ত পুলিশ ভ্যান ও জলকামানসহ সব ধরনের ব্যারিকেড সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

সোমবার রাত আড়াইটার দিকে কার্যালয়টির সামনে থেকে পুলিশের ভ্যান ও দুটি ট্রাক এবং জলকামানের গাড়ি সরিয়ে নেয়া হয়। প্রত্যাহার করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।

তবে সকালে ৩/৪জন পুলিশ ছাড়া বাকি পুলিশও সরিয়ে নেয়া হয়। যারা আগে থেকেই সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। এরপর সকাল ৮টায় একটি বাস ভর্তি মহিলা পুলিশ খালেদা জিয়ার গুলশান কাযালয়ের সামনে এসে ১০ মিনিট অবস্থান শেষে পুলিশের বাসটি চলে যায়।

পুলিশি ঘেরাওয়ের মধ্যে গত ৩ জানুয়ারি থেকে কার্যালয়টিতে অবরুদ্ধ ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। পুলিশি ঘেরাওয়ের মাঝেই ৫ জানুয়ারি থেকে বেশ কয়েকবার ওই কার্যালয়টির ফটক দুটিতে তালা ঝুলিয়ে দেয় পুলিশ।

খালেদা জিয়ার কার্যালয় থেকে পুলিশি ব্যারিকেড সরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি গুলশান-২ এর ৮৬ নম্বর সড়কটিও যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। ওই সড়কের ৬ নম্বর বাড়িটি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়।

দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তির কর্মসূচি ঘোষণার পর ৩ জানুয়ারি রাতে গুলশানের কার্যালয়ে গিয়ে ‘অবরুদ্ধ’ হন খালেদা জিয়া।

নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাত সাড়ে ১১টার দিকে কার্যালয় থেকে বেরহতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। এর দুইদিন পর ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবসের কর্মসূচি পালনের জন্য বের হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ পিপারস্প্রে নিক্ষেপ করে। কার্যালয়ের মূল গেটে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। পরে বিভিন্ন সময় তালা লাগানো ও খুলে নেয়া হলেও কার্যালয়ে সামনে পুলিশের দুই স্তরের নিরাপত্তার পাশাপাশি বড় লরি ও জলকামান ছিল বহাল তবিয়তে। ৮৬ নাম্বার সড়কের দুই প্রান্তে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। সর্বসাধারণের চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয় উক্ত এলাকায় বসবাসকারি ও চলাচলকারী মানুষদের।