লাইফস্ট্যাইল ডেস্ক: রূপচর্চার মূল উদ্দেশ্য থাকে নিজেকে আরও সুন্দর করে তুলে ধরা এবং সৌন্দর্যটাকে ধরে রাখা। কিন্তু এ রূপচর্চা করতে গিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত এমন কিছু ভুল করছি, যা সৌন্দর্য বৃদ্ধির পরিবর্তে নষ্ট করার মূল কারণ হয়ে দাড়ায়। জেনে নিন কিছু সাবধানতা।
* ঘন ফাউনডেশন লাগাবেন না: অতিরিক্ত ঘন ফাউনডেশন লাগাবেন না। কারণ এটি দেখতে অনেক মেকি মনে হবে এবং ত্বকের গ্রন্থিগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে ত্বক নষ্ট হবে।
* চোখের চারপাশে ময়েশ্চারাইজার: ত্বককে আর্দ্র করার জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা হয়। এতে ত্বক থাকে নরম ও কোমল। কিন্তু চোখের চারপাশের ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা কখনোই উচিত নয়। কারণ এর ফলে আপনার চোখ ফোলা ফোলা দেখাতে পারে এবং আপনাকে ক্লান্ত মনে হতে পারে। তাই চোখের চারপাশ বাদ দিয়ে তবেই মুখমণ্ডলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
* অপরিষ্কার ব্রাশ: প্রতিদিনের সাজসজ্জায় অনেক কিছু ব্যবহার করা হয়। আবার ত্বকের সঙ্গে স্পর্শ ঘটে এমন জিনিসও রয়েছে অনেক। যেমন- মেকআপ ব্রাশ, বালিশের কাভার ইত্যাদি। এই জিনিসগুলো যদি অপরিষ্কার থাকে তবে ত্বকে ছড়াবে ব্যাকটেরিয়া।
* অতিরিক্ত স্কার্বের ব্যবহার: স্কার্বের ব্যবহার রূপচর্চায় অনেকেই করে থাকেন, কিন্তু এই পদ্ধতিটি মারাত্মক ক্ষতিকর। হাত, পা বা দেহের অন্যান্য অংশের ত্বকে মোলায়েমভাবে স্কার্ব ব্যবহার করলেও ত্বকের মসৃণতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর মুখের স্পর্শকাতর ত্বকে যদি স্কার্ব ঘষা হয়, তাহলে সর্বনাশের আর বাকি নেই। ডিপ ক্লিনজিংয়ের উদ্দেশে অনেকেই স্কার্ব ঘষেন মুখে। পরিষ্কার যাই হোক, ত্বক হয়ে যাবে খসখসে।
* পানির ক্ষরতা: পানিতে ক্ষারের মাত্রা বেশি থাকলে তা ত্বকের জন্য হুমকি। তাছাড়া এমন পানিতে এমন খনিজ উপাদান থাকতে পারে যা সাবান বা ফেসওয়াশ পণ্য ব্যবহার করেও দূর করা যায় না। ক্ষারযুক্ত পানি চুলেরও কোমলতা ও মসৃণতা নষ্ট করে দেয়। মুখ ধোয়া বা গোসলের জন্য শাওয়ার ফিল্টার বা ওয়াটার সফটনার ব্যবহার করা উচিত।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।