সকল মেনু

‘বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত’ অবরোধ চলবে

80935_BNP 20 Dalনিজস্ব প্রতিবেদক : ‘বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত’ চলমান অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।
শনিবার দুপুরে এক বিবৃতিতে ২০ দলীয় জোটের এ অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
বিবৃতিতে বিজিবির মহাপরিচালক ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের বক্তব্যকে এখতিয়ারবহির্ভুত দাবি করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষমতাসীন হবার পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার মানুষের অধিকারগুলো সংকুচিত করেছে। গণতন্ত্রে যে বিরোধী দলের বিশেষ একটি জায়গা আছে সেটিকে তারা কখনই বিশ্বাস করেনি। গণতন্ত্রে স্বীকৃত বিরোধী দলের সকল কর্মকাণ্ডকে বানচাল করতে তারা দমননীতি অবলম্বন করেছে।
তাদের দমননীতি অমানবিক, মধ্যযুগীয় এবং নাজি ফ্যাসিষ্টদের সমতুল্য। শুধুমাত্র কথা বলা, সভা, সমাবেশের অধিকারগুলোই তারা হরণ করেনি বরং নাজিদের কায়দায় বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দকে অবরুদ্ধ, কারারুদ্ধ, মিথ্যা মামলাতেই জড়ানো হয়নি, অনেককে পৃথিবী থেকে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে।
২০ দলীয় জোটের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়,  সমাজের নানাস্তরের মানুষসহ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম, গুপ্তহত্যা ও ক্রসফায়ারের নির্মম শিকার হতে হয়েছে। ফলে এই পৈশাচিক দু:শাসনকে মোকাবেলা করার জন্য ২০ দলীয় জোট গঠন হবার পর থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে মানুষের হারানো অধিকার পুন:রুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
এতে বলা হয়, জোটের অসংখ্য নেতাকর্মীদের হত্যা করে ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর আওয়ামী মহাজোট সরকার অবৈধ একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করে আরও বেশী নির্দয় ও নিপীড়কের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০ দলীয় জোট নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ১৪ দিন ধরে নিজ কার্যালয়ের ভেতর অবরুদ্ধ রেখে কার্যালয়ের চারিদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ইট, বালু, কাঠের ট্রাক দিয়ে ব্যারিকেড করে রাখা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ জোটের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে আটক রাখা, হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের, প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা, এজেন্টদের দিয়ে যানবাহনে আগুন লাগিয়ে পরিকল্পিত নাশকতা করে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপানো, প্রকাশ্যে বুকে গুলি করার নির্দেশ ইত্যাদি ভয়ংকর পরিস্থিতি এখন এদেশে বিরাজমান।
বিবৃতি আরো বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যৌথবাহিনীর পাশাপাশি এখন নাকি সেনাবাহিনীও নামবে।
বিবৃতিতে ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী এবং সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের কাছে একটি প্রশ্ন রেখে বলা হয়, তারা কী ৫ শতাংশ ভোটের অবৈধ সরকারের নির্দেশ শুনবে নাকি ৯৫ শতাংশ মানুষের পক্ষে থাকবে ? এদেশে অত্যাচারীরা কোনদিনই টিকতে পারেনি।
বিবৃতিতে সেনাবাহিনী এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে আরও বলা হয়, তারা যেন ক্ষমতাসীন উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের প্রতিশোধবাসনার যন্ত্রে পরিণত না হন, কারণ এদেশের সমগ্র জনগোষ্ঠী তাদের বেতন নিশ্চিত করে।
বিবৃতিতে অবিলম্বে ২০ দলীয় জোট বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ ২০ দলীয় জোটের সকল আটক নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে এই মূহুর্তে অবৈধ সরকারকে পদত্যাগ করে সকলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবিও জানানো হয়।
বিবৃতিতে চলমান আন্দোলনে এ পর্যন্ত সরকারি বাহিনীর গুলিতে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top