সকল মেনু

ওয়ালটন কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখে সন্তুষ্ট এডিবি প্রতিনিধি দল

 অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম: ওয়ালটন কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়া ও কর্মপরিবেশ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করলেন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-এডিবি‘র উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। প্রতিনিধি দলের নেতা এডিবি‘র প্রধান অর্থনীতিবিদ শাং জিন ওয়ে বলেন, ওয়ালটন কারখানা দেখে তিনি উচ্ছ্বসিত। এর চমৎকার প্রবৃদ্ধি চোখে পড়ার মতো। স্বল্প সময়ের মধ্যে ওয়ালটন বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তিপণ্য নিজেরাই তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। দেশের বাজারে তারা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সফলতা অর্জন করেছে। ভবিষ্যতে ওয়ালটন স্যামসাংকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। আজ শুক্রবার দুপুরে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি এডিবি’র ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজে এসে পোঁছলে তাদের স্বাগত জানান ওয়ালটনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম আশরাফুল আলম, ফিন্যান্স বিভাগের নির্বাহী পরিচালক আবুল বাশার হাওলাদার, অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম, ফার্স্ট সিনিয়র এ্যাডিশনাল ডিরেক্টর লে. কর্নেল (অব.) আব্দুল কাদের প্রমূখ। প্রধান অর্থনীতিবিদের পাশাপাশি এডিবির প্রতিনিধি দলে রয়েছেন কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজুহিকো হিগুচি, সিনিয়র ইকোনোমিস্ট ভালেরি মার্চার ব্ল্যাকম্যান, প্রিন্সিপাল কান্ট্রি ইকোনমিস্ট জাহিদ হোসাইন, সিনিয়র ইকোনোমিকস অফিসার শামসুর রহমান, সিনিয়র ফিনান্সিয়াল সেক্টর স্পেশালিষ্ট বিদ্যুত কুমার সাহা, ইকোনোমিস্ট গোলাম মর্তুজা এবং এ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও ফিন্যান্স বিভাগের প্রধান মারুফ হোসেন। জানা গেছে, বাংলাদেশের ইলেক্ট্রনিক্স ও ইলেক্ট্রিক্যাল খাতের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করতে তারা ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাষ্ট্রিজ পরিদর্শন করেছেন। বিশেষ করে দেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলো সর্ম্পকে ধারণার আলোকে এডিবি’র পরবর্তী (২০১৬-২০২০) কান্ট্রি পার্টনারশীপ স্ট্রাটেজি তৈরি করা হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের দ্রারিদ্য দূরীকরণে উল্লেখযোগ্য খাত হিসেবে গড়ে উঠতে এই সেক্টরে কী ধরনের নীতিসহায়তা প্রয়োজন তা ওই কৌশলপত্রে স্থান পাবে। সূত্র মতে, বাংলাদেশের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এই খাতকে একটি অন্যতম সম্ভবনাময় এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য উপযোগী খাত হিসিবে চিহ্নিত করার প্রয়াস চলছে। কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজুহিকো হিগুচি বলেন, এখানে কর্মরত শ্রমিকদের প্রতি ওয়ালটন খুবই যতœশীল। মানসম্মত খাবার সরবরাহ এবং শ্রমিকদের বেতন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ওয়ালটন এদেশের অন্যান্য কোম্পানির জন্য একটি ইতিবাচক দৃষ্টিান্ত। এডিবি‘র সিনিয়র ইকোনমিস্ট ভ্যালেরি মার্চার ব্ল্যাকম্যান বলেন, এখানে আসার আগে আমি ভেবেছিলাম ওয়ালটন সাধারন একটি ফ্রিজ তৈরি কারখানা। কিন্তু কারখানা পরিদর্শন করে দেখলাম, এটি একটি বিশাল কারখানা। ওয়ালটনের উৎপাদন প্রক্রিয়া ও কর্মপরিবেশ দেখে আমি অভিভূত। এর আগে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের কনফারেন্স হলে গেলে সেখানে তাদের ওয়ালটন সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেয়া হয়। তারা ওয়ালটনের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখেন। পরিদর্শন করেন প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার। এরপর প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ওয়ালটনের বিভিন্ন উৎপাদন ইউনিট ঘুরে দেখেন। বিশেষ করে ফ্রিজ, টেলিভিশন, এয়ারকন্ডিশনার, মোটরসাইকেল ইত্যাদি তৈরির বিভিন্ন পর্যায় সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top