সকল মেনু

ঢাবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে রাতভর সংঘর্ষ, আহত ৪০

46515নিজস্ব প্রতিবেদক : শুক্রবার গভীর রাত থেকে ভোররাত পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি হলের ছাত্রলীগের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৪০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জসীমউদ্দিন হল ও জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
জিয়া হল সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে আহত ওই হলের তিন শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর। এদের মধ্যে একজনকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। আহত তিন শিক্ষার্থী হলেন, রুস্তম (দ্বিতীয় বর্ষ), অর্ণব (২য় বর্ষ) এবং জিয়া হল শাখা ছাত্রলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জহির।
সংঘর্ষ চলাকালে মাথায় আঘাত পান জিয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি আবু সালমান প্রধান শাওনও। তার মাথায় একাধিক সেলাই লেগেছে বলে জিয়া হল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জসীম উদ্দীন হলের আহতদের মধ্যে রয়েছেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জিতু (৪র্থ বর্ষ), বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি সম্পাদক কাউসার আহমেদ (৩য় বর্ষ), মাহমুদ (২য় বর্ষ) প্রমুখ।
এর মধ্যে জিতু ও মাহমুদের আঘাত গুরুতর। জিতুর মাথায় আঘাত থাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার সিটিস্ক্যান করানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে জসীম উদ্দীন হল সংলগ্ন টং দোকানে খেতে আসেন জিয়া হলের ছাত্রলীগ নেতা ইমরান (ইংরেজি, ৪র্থ বর্ষ)। বের হয়ে যাওয়ার পথে তিনি জসীম উদ্দীন হলের সীমানা প্রাচীর ঘেষে প্রস্রাব করেন। তা দেখে প্রতিবাদ করেন জসীম উদ্দীন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা হামিদ (বাংলা, মাস্টার্স)। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায় জসীম উদদীন হলের আরও কয়েকজন গিয়ে ইমরানকে মারধর করে।
ইমরানের সাথে থাকা তার দুই বন্ধু হলে খবর দিলে জিয়া হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বের হয়ে জসীম উদ্দীন হলের ওই শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। এরপর জসীম উদ্দীন হলের শিক্ষার্থীরাও লাঠিসোঁটা নিয়ে বের হয়ে জিয়া হলের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে হলের ভেতর ঢুকিয়ে দেয়। এভাবে সোয়া ঘণ্টা ধরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে।
খবর পেয়ে রাত ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এম আমজাদ আলী, ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘণ্টাখানেক চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এর আগে শাহবাগ থানা থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সেখানে হাজির হয়।
প্রক্টর জানান, সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ৪০ জন। তারা চিকিৎসাধীন আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top