সকল মেনু

গত ডিসেম্বরে চীনের রফতানি বাড়লেও কমেছে আমদানি

chinese-containersহট নিউজ ডেস্ক : ২০১৪’র ডিসেম্বরে চীনের রফতানি বাড়লেও কমেছে আমদানি। তবে আমদানি-রফতানির মধ্যে ভারসাম্য না থাকায় এটি অর্থনীতিকে চাপের মুখে ফেলছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নানা কারণে গত নভেম্বর থেকেই আমদানি কমেছে চীনে। ডিসেম্বরেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় ছিলো দেশটিতে। আমদানি কমেছে দুই দশমিক তিন শতাংশ। তবে এ সময় রফতানি বেড়েছে প্রায় দশ শতাংশ। যা গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশটির শুল্ক বিভাগের প্রকাশিত রিপোর্টে এমন তথ্যই ওঠে এসেছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে ২০১৪’র মতো ২০১৫’তেও বিদেশি বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কাস্টমস বিভাগের মুখপাত্র ঝ্যাং ইয়্যুশ্যাং বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির মন্থরগতি সহ আরো বেশ কিছু সহ কারণে গত বছর চীনের বিদেশী বাণিজ্য উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেছে। নিম্ন উৎপাদন খরচের সুবিধা আর না পাওয়ায় উৎপাদন খাতে কমেছে বিদেশি বিনিয়োগ। এছাড়া বিশ্ববাজারে পণ্যের অব্যাহত দরপতনে চলতি বছরও এ ধারা বজায় থাকবে বলে আশঙ্কা করছি।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চলতি বছর আমদানি ৭ শতাংশ কমবে এবং রফতানি বাড়বে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। তবে, যদি বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে না দাঁড়ায় তবে বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকে কমবে রফতানিও।

জেপিমরগ্যানের বাজার বিশ্লেষক আদ্রিয়ান মওয়াত বলেন, গ্যাস ও ডিজেলের দাম কমায় ভোক্তাদের আস্থা ফিরে এসেছে ও তারা কেনাকাটা করছেন। বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদন নির্ভর অর্থনীতি হিসেবে চীন এর সুফল ভোগ করবে এটাই বলা যায়। তবে আমদানি কমা নিয়ে বাজার এখন বেশ চিন্তিত। সেইসঙ্গে অভ্যন্তরীণ চাহিদাও বেশ কম। কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত দুর্বল ও শক্তিশালী কোন রফতানিই অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক নয়।

গত বছর ইইউ ও জাপানের সঙ্গে বাণিজ্য কিছুটা কমলেও বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে। তবে নিত্যপণ্যের অব্যাহত দরপতন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ’র অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করলে তা চীনাদের জন্যও ভালো হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top