সকল মেনু

‘খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ নয়, ঘরে যেতে বাধা নেই’

80611_4521নিজস্ব প্রতিনিধি : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ নন দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উনি ঘরে যেতে চান যাবেন, বাধা দেয়া হবে না।

সোমবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘উনি (খালেদা) কি স্বপ্নে বিভোর, কোন স্বপ্নে বিভোর? সেটা উনিই জানেন। জামায়াতকে সাথে নিয়ে উনি মানুষ খুন করবেন, এটা হতে দেয়া হবে না। জনগণের ওপর জুলুম, নির্যাতন বন্ধ করেন। জনগণ ক্ষেপে গেলে কিন্তু খুব খারাপ অবস্থা হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেছেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া তার ও তার দলের বিষয়। বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে তিনি ও তার দলই ভুল করেছে। এর খেসারত তাকে ও তার দলকেই দিতে হবে। এর খেসারত জনগণ দেবে না।

সোমবার বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিকাল সাড়ে ৩টায় তিনি মঞ্চে ওঠেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারেননি। এক বছর পর তার মাথায় আবারো আন্দোলনের ভূত চেপে বসেছে। কিসের আন্দোলন, কিসের অবরোধ। তিনি মানুষকে পুড়িয়ে মারছেন। তার মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ থাকলে এটা করতে পারতেন না।

৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বৈধতা দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনে সারাবিশ্ব স্বীকৃতি না দিলে আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ স্বীকৃতি পেতো না। সারাবিশ্ব বুঝে না, বুঝেন শুধু বিএনপি নেত্রী।

শেখ হাসিনা তার সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কাজের বর্ণনা দেন।

তিনি বলেন, জেনারেল জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জাতির জনকের দেয়া সংবিধান স্থগিত করে দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে দিয়েছিল।

তবে সমাবেশ শুরুর প্রাক্কালে অদূরে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় অনেকের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ শুরু হয়।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাপরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ সেলিম, দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাউসার, কৃষকলীগের সভাপতি মো. মোতাহার হোসেন মোল্লা, শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুন্নেছা মোশাররফ, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বক্তব্য রাখেন।

তারা বিএনপির প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, তাদের সহিংস আন্দোলন প্রতিহত করা হবে। রাজপথে থেকে তাদের মোকাবেলা করা হবে। দেশের মাটিতে বিএনপি-জামায়াতের কোনো সহিংস কার্যক্রম চলতে দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।

সকালে সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। দলটির দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এমন দাবি করেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক আদেশে সোমবার সকালে ঢাকায় সভা-সমাবেশের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। ডিএমপির ওয়েবসাইটে এমন তথ্য দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top