সকল মেনু

৪ দিনের ব্যবধানে প্রতি মনে দাম কমেছে দেড়শ টাকা, অবরোধের কবলে রংপুরের ধানের বাজার

imagesইকবাল হোসেন, রংপুর প্রতিনিধি : অবরোধের কবলে পড়েছে রংপুরের ধানের বাজার। ৪ দিনের ব্যবধানে প্রতি মনে ধানের দাম কমেছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।
রংপুরের মিঠাপুকুর, শঠিবাড়ী, বড়দরগা, কাউনিয়াসহ বিভিন্ন হাট বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৪ দিনের ব্যবধানে ৮০০ টাকার ধান নেমে এসেছে ৬৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায়। ব্যবসায়ী ও কৃষকরা বলছেন অবরোধের কারণে মোকাম থেকে ধান ক্রয়ের জন্য কেউ আসছে না। দেশের বিভন্ন স্থানে ধান চাল সরবরাহ করতে না পারায় হাট বাজারে ধানের দাম কমে গেছে। এই সুযোগে এক শ্রেণীর মজুদদার কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে ধান ক্রয় করে মজুদের পাহাড় গড়ে তুলছে।
মীরবাগ এলাকার কৃষক ছালাম মিয়া ও জব্বার মুনশি জানান, অবরোধ আর হরতালের কারণে প্রতিদিনই ধানের দাম কমছে। ধান ক্রয় করতে কোন বড় পাইকাররা আসছেন না। তারা আরো জানান, এই ধান বিক্রি করে আসন্ন বোরো ধান চাষাবাদের এবং আলু রোপনের  খরচ মেটানো হয়। তাছাড়া সংসারের অন্যান্য চাহিদাও এই খাত থেকে মেটান হয়। এ সময় ধান বিক্রি না করে তাদের উপায় থাকে না। তাদের অভিযোগ, এ দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছেন মজুতদার আর পাইকাররা। কৌশলে তাদের কম দামে ধান বিক্রিতে বাধ্য করছেন তারা। অজুহাত একটাই দেশে চলছে অবরোধ হরতাল, গাড়ি বন্ধ। লালবাগ হাটে কথঅ হয় কৃষক রহিম মিয়ার সাথে। তিনি ১০ মন ধান নিয়ে এসেছেন বিক্রির জন্য। ক্রেতা কম থাকায় সন্ধ্যায় তিনি ৭২০ টাকা মন দরে ধান বিক্রি করে চলে গেছেন। তিনি বলেন, চারদিন আগেও তিনি এই একই ধান ৮০০ টাকা মন দরে বিক্রি করেছেন।
কাউনিয়ার ধান ব্যবসায়ী শফিক মিয়া জানান, তার কাছে এখনো যে ধান রয়েছে তা ক্রেতার অভাবে বিক্রি হচ্ছে না। বর্তমান বাজারে ধান বিক্রি হচ্ছে প্রতি মন ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। মোকাম বন্ধ থাকায় সেই ধানও তিনি ছাড়তে পারেননি। বর্তমান স্থানীয় পর্যায়ের মিল চাতাল মালিকরা কিছু কিছু করে ধান তাদের কাছ থেকে কিনছেন। মিল মালিকরা যে দর নির্ধারণ করে দিচ্ছেন তাতে করে ৭০০ টাকার বেশী দামে ধান কেনা যাচ্ছেনা। এই দামে ধান বিক্রি করলে কৃষকদের লাভ থাকছে না।
রংপুরের ধান চালের বৃহৎ মাহিগঞ্জ চাল মালিক সমিতির সদস্য মাসুম মিয়া ও অটো রাইস মিল মালিক লোকমান হোসেন দাম কমের কারণ হিসেবে দেশের অস্থিরতার কথা তুলে ধরে বলেন এসময় আড়ত থেকে  ২০ থেকে ৩০ ট্রাক ধান দেশের বিভিন্নস্থানে যেত। কিন্তু অবরোধের কারণে ধান কোথাও সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছেনা। তাই তারা ধান ক্রয় করছেন না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top