সকল মেনু

সরকার বিরোধী আন্দোলনে জনগণ জিম্মি, সরকারও আগ্রাসী

46216নিজস্ব প্রতিবেদক : চলমান সঙ্কট সমাধানে সব দল নিয়ে এক টেবিলে আলোচনায় বসার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।  এক বিবৃেিত গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন দেশ আবার চরম রাজনৈতিক সংঘাত, অস্থিরতা, হানাহানির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
নতুন বছরের শুরু থেকেই এই সংঘাতের রাজনীতি শুরু হয়েছে। সরকারও অসহিষ্ণু হয়ে বিরোধী পক্ষের উপর মারমুখী আচরণ চালাতে শুরু করেছে। বিবৃতিতে তিনি বলেন, সংঘাতের রাজনীতির কারণে গণতন্ত্র এখন বিপন্ন হয়ে পড়ছে। এই কারণে ইতিমধ্যে অনেক প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে গেছে।
এ ধরণের ঘটনায় আমি দুঃখিত ও মর্মাহত। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনকারীরা সরকার বিরোধী আন্দোলনের নামে জনগণকে জিম্মি করার মতো কর্মসূচি গ্রহণ করছে। অপরদিকে সরকারও প্রতিপক্ষকে দমনের নামে আগ্রাসীদের মতো ভূমিকা পালন করছে। আমরা এর কোনোটাকেই মেনে নিতে পারি না।
বিবৃতিতে এরশাদ বলেন আমরা মনে করি জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করে উভয় পক্ষকেই নমনীয় এবং শান্ত থাকতে হবে। সকল দলের সাথে আলাপ-আলোচনা মাধ্যমে সংকট নিরসনে শান্তিপূর্ণ পন্থা অবলম্বন করতে হবে। প্রতিবাদের ভাষা পরিবর্তন করতে হবে। আমি পয়লা জানুয়ারি ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশেই আশংকা করেছিলাম যে, ৫ই জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে দেশে আবার সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। দেশবাসী শান্তি চায় নিরাপত্তা চায় এবং তারা দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ দেখতে চায়।
ঔপনিবেশিক আমলের সেই হরতাল-অবরোধের মতো নেতিবাচক অপরাজনীতি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এর ফলে জনমনে চরম আতঙ্ক-অনিশ্চয়তা নেমে আসছে। এই অবস্থায় একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ চলতে পারে না এবং সংঘাত ও গণতন্ত্রও একসঙ্গে  চলতে পারেনা।
 এতে বলা হয় আমার সেই আশংকাই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। মহাসমাবেশেই আমি সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলাম আসুন আমরা একটি সর্বদলীয় কনভেনশনে মিলিত হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণের লক্ষ্যে সর্বসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করি। আমি আবারও সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাই আসুন এক টেবিলে আলোচনায় বসি এবং সংকট নিরসনের উপায় উদ্ভাবন করি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top