সকল মেনু

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ইজতেমাগামিদের দু:চিন্তা

 রংপুর ব্যুরো: বিএনপির ডাকা অনির্দিষ্টকালের সড়ক ও রেলপথ অবরোধের ফলে রংপুরে মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। এতে করে ঢাকার সাথে রংপুরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে কোন বাস চলাচল করেনি। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও ঢাকাগামি  টিকিটের জন্য হাহাকার পড়েছে। দ্বিগুণ দাম দিয়েও ট্রেনে টিকিট মিলছে না। এছাড়া নগরের হালকা যানবাহন চলাচল করলেও লোকজনের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলকভবে অনেক কম। অবরোধের ফলে ইজতেমাগামি লোকজন রয়েছেন চিন্তার। ২০ দলীয় জোটের ডাকা  অবরোধ কর্মসূচি সোমবার রাত থেকে শুরু হয়েছে। এর দুদিন আগে থেকে সরকারের পক্ষ থেকে অঘোষিত ঢাকাগামি যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। অবরোধের কারণে দুরপাল্লা এবং অভ্যন্তরিন রুটে কোন বাস চলাচল করেনি। ফলে যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে যেতে না পেরে চরম বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে যারা ইজতেমায়  যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা রয়েছেন চরম দুশ্চিন্তায়।  কামালকাছনার ইজতেমাগামি সাইফুল ইসলাম, কবির হোসেনসহ বেশকজন জানান, তারা ইজতেমায় যাওয়ার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। কিন্ত অবরোধের কারণে ইজতেমায় যেতে পারবেন না। কিভাবে যাবেন সে চিন্তায় রয়েছেন। এদিকে, রংপুর রেলওয়ে স্টেশনে খোজ নিয়ে জানা গেছে,  রংপুরে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট সংখ্যা ১৯২টি ছিল । কিন্তু দুটি বগি বাদ দেওয়ায় এখন টিকেট সংখ্যা মাত্র ১৩৫টি।  এছাড়া মঙ্গলবার রমনা এক্সপ্রেস, এরপর দোঁলনচাপা এক্সপ্রেস, লালমনিরহাট থেকে দিনাজপুর গামি কমিউটার, বুড়িমারী এক্সপ্রেস, লালমনিরহাট থেকে পার্বতিপুরগামি এলআর, সেভেন আপ ও এইট ডাউন ট্রেনে চলাচল করেছে। এছাড়া ঢাকাগামি রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি যথারীতি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। তবে এসব ট্রেনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট যাত্রীদের কাছে দু¯প্রাপ্য  হয়ে পড়েছে। অনেকে দ্বিগুন দামে টিকিট ক্রয় করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
প্লাটফর্মে’ টিকেটের জন্য অপেক্ষায় থাকা মোবার হোসেন ও আকবর হোসেন জানান, ভোরে এসে লাইনে দাড়িয়েছি। কিন্তু টিকেট পাচ্ছি না। দুএকটি টিকেট দেওয়ার পরই বলঅ হচ্ছে টিকেট শেষ হয়ে গেছে। তারা বলেন অথচ কালোবাজারিদের কাছে ৫০০ টাকার টিকেট বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকায়। এত টাকা দিয়ে টিকেট কেনা আমাদের মত সাধারন মানুষের জন্য সম্ভব নয়।
রংপুর রেলওয়ের সুপার আবদুর জব্বার খান টিকেটের স্বল্পতার কথা স্বীকার করে বলেন, রংপুর এক্সপ্রেসের বগির সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ায় যাত্রীদের চাপ আরো বেড়ে গেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার ফলে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান। আর কালো নবাজারে টিকিট বিক্রির কথা তিনি অস্বীকার করেন।
অপরদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে কোতয়ালী থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান, আইন শৃঙখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ বাহিনী সদা সর্তক রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোন ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top