সকল মেনু

৫ জানুয়ারী “মুক্তিযুদ্ধের অর্জন সমূহ ও গণঅধিকার রক্ষা দিবস” পালন করবে ওয়ার্কার্স পার্টি

wokers partyকমরুল আহসান, ঢাকা : আগামী ৫ জানুয়ারী “মুক্তিযুদ্ধের অর্জন সমূহ ও গণঅধিকার রক্ষা দিবস” পালনের কর্মসুচি ঘোষণা করেছে ওয়ার্কার্স পার্টি। ওয়ার্কার্স পার্টি ঘোষিত কর্মসূচীতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর দশম জাতীয় সংসদ নিবার্চন ছিল সংবিধান ও সাংবিধানিক ধারা অক্ষুন্ন রাখা, একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের অর্জনসমূহ রক্ষা ও অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থা এগিয়ে নেয়ার চ্যালেঞ্জ। সাংবিধানিক ধারা অক্ষুন্ন রাখার ঐ নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপি-জামাত ছিল মরিয়া। এ জন্য তারা সারা দেশ জুড়ে সন্ত্রাস চালায়। তারা দেশব্যাপী বোমা হামলা, হরতাল অবরোধের নামে নির্বিচারে গাছ কেটে রাস্তায় ফেলা, যানবাহন, বাড়ীঘরে অগ্নি সংযোগ এবং বিভিন্ন এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলে এর অবমাননা করে। সাধারণ মানুষের বাড়ীতে হত্যা-হামলা সংগঠিত করে, সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ীতে আক্রমণ চালিয়ে এক নারকীয় ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। বিএনপি-জামাত ঐ নির্বাচন বানচাল করে দেশে অসাংবিধানিক ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠার চক্রান্তে নিয়োজিত হয়। তাদের এ হীন অপচেষ্টার পিছনে মদৎদাতা হিসেবে মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদ ও তাদের মিত্র কয়েকটি ইউরোপীয় রাষ্ট্রেরও পরোক্ষ ইন্ধন ছিল। বিএনপি-জামাত তাদের জঙ্গিবাদী মিত্ররা এদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের অর্জন সমুহ ও অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থাকে ধ্বংস করে সাম্প্রদায়িক ,জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তারা দেশকে পুণরায় পাকিস্তানী ধারায় নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে দেশকে অসাংবিধানিক পথে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা চালায়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের জনগন বিএনপি-জামাতের চক্রান্তে সায় দেয়নি। বরঞ্চ তাদের সন্ত্রাসী  ও নৈরাজ্যিক কর্মকান্ড ঘৃণাভরে প্রত্যাক্ষান করে। সাংবিধানিক ধারা অক্ষুন্ন রাখতে ৫ জানুয়ারী ২০১৪ সালে জনগন মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সকল হামলা আক্রমন,ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ভোট দিয়ে ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র, গণঅধিকার রক্ষায় সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন। ঐ নির্বাচন সফল করে এদেশের জনগন মুক্তিযুদ্ধের অর্জন সমুহ রক্ষা ও  সাংবিধানিক ধারাকে বিজয়ী করে, অসাংবিধানিক ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠার সকল ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত নস্যাৎ এবং বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসী তান্ডব নিষ্ক্রীয় করে দিতে সক্ষম হয়েছিল। তাই ৫ জানুয়ারীর ঐ নির্বাচন সফল করার মধ্য দিয়ে সাংবিধানিক ধারা অক্ষুন্ন থাকা মুক্তিযুদ্ধের অর্জন ও অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থার জন্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনা। ঘোষিত কর্মসূচীতে আগামী ৫ জানুয়ারী ২০১৫,পার্টির সকল জেলায় গণমিছিল করে “মুক্তিযুদ্ধের অর্জন সমুহ ও গণঅধিকার রক্ষা দিবস” পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে মিছিলের কর্মসুচী পালিত হবে। ঢাকা মহানগর কমিটির উদ্যোগে বিকেল ৩.৩০টায় পার্টির কার্যালয় থেকে লাল পতাকা মিছিল রাজপথ প্রদক্ষিণ করবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top