সকল মেনু

হ্যাপির মামলায় রুবেলের ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি

 আদালত প্রতিবেদক: চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপির দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমান এই আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এস আই মাসুদ পারভেজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই আবেদন করেন। এ বিষয়ে হ্যাপির আইনজীবী তুহিন হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, মামলা ঘটনাস্থল হইতে উদ্ধারকৃত জব্দকৃত মালামালগুলোর মধ্যে একটি সাদা কালো বর্নের পুরাতন ব্যাবহৃত পাপোষ। এছাড়া একটি আকাশী ও সাদা বর্নের হাতাছাড়া বা ম্যাগী হাতার জার্সি এবং একটি লাল বর্নের ব্যবহৃত নাইটি রয়েছে। তাই আদালতকে বলেছি, হ্যাপির পরিদেয় কাপড়, আসামী রুবেলের জার্সি এবং ব্যবহৃত পাপোস পরীক্ষা করে সঠিক তথ্য বের করা গেলেই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। এর কারন ডিএনএ হলো বংশগত বা জন্মগত উপাদান। তাই এই উপাদানকে কেমিক্যাল ষ্টোর হাউস বলা হয়। এই ডিএনএ পরীক্ষা প্রথম মার্কিন যুক্ত রাজ্যের “সারবাহ বনাম হোম অফিস” মামলার মাধ্যমে প্রচলন শুরু হয় এবং কার্যকর বলে গন্য হয়। এছাড়া মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট “বিল ক্লিটন বনাম মনিকার” যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ ডিএনএ পরিক্ষার মাধ্যমে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হয়। এ কারনে এই মামলায়ও ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হোক। শুনানী শেষে আদালত ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দেন।
ডিএনএ পরীক্ষার আবেদনে বলা হয়, এই মামলা ঘটনাস্থল হইতে উদ্ধারকৃত জব্দকৃত মালামালে ভিকটিম কিংবা আসামীর ডিএনএ এর উপাদান বিদ্যমান আছে কি না তাহা পরিক্ষা করা একান্ত প্রয়োজন। এছাড়া মামলার সুষ্ট ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে জব্দকৃত মামলামাল চিফ ডিএনএ এনালিস্ট ফরেনসিক, ডিএনএ ল্যাবরেটরি অব বাংলাদেশ পুলিশ, সিআইডি মালিবাগ, ঢাকা কতৃক পরিক্ষা করা প্রয়োজ। পাশাপাশি পরিক্ষার জন্য ক্ষমতাপত্র প্রদান একান্ত প্রয়োজন।
এরআগে ধর্ষণের অভিযোগে ১৩ ডিসেম্বর রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন চিত্র নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপি (১৯)। মামলার অভিযোগ করা হয়, জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার হ্যাপির সাঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এরপরে মামলা তুলে নিতে মুঠোফোনে হুমকি দেওয়া হয় বাদী নাজনীন আক্তার হ্যাপিকে। বলা হয়, দু-একদিনের মধ্যে মামলা তুলে না নিলে অপহরণ করে করে গুম করে ফেলা হবে। পরে নিরাপত্তার জন্য মিরপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন চিত্রনায়িকা নাজনিন আক্তার হ্যাপী। জিডি নম্বর ২২৮৭, তারিখ: ২৫-১২-২০১৪, মিরপুর মডেল থানা। আদালত সুত্রে জানাগেছে, ফেসবুকের মাধ্যমে রুবেলের সঙ্গে পরিচয় হয় হ্যাপির। এরপরে নয় মাস ধরে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা। এরই মধ্যে আরেক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে রুবেল। পরে রুবেল তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top