সকল মেনু

বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নে সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

79748_231নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নানা সীমাবদ্ধতা সত্বেও বর্তমান সরকার দেশে বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিমান বাহিনীর বহরে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন যন্ত্রপাতি আর আধুনিক বিমান। আর এ কারনে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্তব্যনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব বিশ্বনেতৃবৃন্দের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

বুধবার যশোর বিমান বাহিনী একাডেমিতে আয়োজিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনী শীতকালীন গ্রাজুয়েশন কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও জাতিসংঘ নিরাপত্তা কার্যক্রমের অধীনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী  প্রতিবছর  প্রায় চার হাজার উড্ডয়ন ঘণ্টা সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পরিবহন বিমানের কন্টিনজেন্ট বৃদ্ধি এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আমাদের বিমান বাহিনীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান বাহিনীর নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, কঠোর পরিশ্রম, শৃঙ্খলা এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সামরিক প্রশিক্ষণের প্রাথমিক ধাপ সফলতার সঙ্গে শেষ করে আজ আপনারা কমিশন পেতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত আনন্দের। অত্যন্ত গবের্র। আমি কমিশন প্রাপ্ত সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

এর আগে বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে যশোর মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করেন। এসময় বিমান বাহিনীর প্রধানসহ অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী মোটর শোভাযাত্রাসহকারে বিমান বাহিনীর একটি জীপে করে ঘাঁটির প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রবেশ করেন। এসময় বিউগলে জাতীয় সঙ্গীত ও বিমান বাহিনীর নিজস্ব সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী প্যারেড পরিদর্শন করেন এবং প্রশিক্ষণে সর্বোচ্চ কৃতিত্ব অর্জণকারী নবীন অফিসারদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top