সকল মেনু

গ্রাম উন্নয়নে কাজ করেন ওরা এগারো জন

10

আতিকুর রহমান টুটুল,হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: পড়ালেখার পাশাপাশি নিজেদের গ্রাম উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছেন কালীগঞ্জ উপজেলার একদল যুবতি নারী ও গৃহবধূ। গ্রামের মানুষের চিকিৎসা, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও অসহায় মানুষকে সাহয্য করার মাধ্যমে নিজেদের গ্রামকে উন্নতির শিখরে পৌছে দিতে তাদের নিরলস প্রচেষ্টা। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের ১১টি গ্রামের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছেন তারা। প্রতি মাসে দুই দিন এগারো জন নারী উজ্জিবক একত্রিত হন। আলোচনা করেন কাজের অগ্রগতি নিয়ে। গ্রামে এ ধরণের ব্যতিক্রমধর্মী কাজ করার সুবাদে এলাকায় তারা গ্রাম লিডার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এগারো উজ্জিবকরা হলেন, নিয়ামতপুর ইউনিয়নের বলাকান্দর গ্রামের জলি খাতুন, আড়–য়াশলুয়া গ্রামের শিখা খাতুন, মলি­কপুর গ্রামের শাহনাজ খাতুন, অনুপমপুর গ্রামের অঞ্জনা রানী, মোস্তবাপুর গ্রামের রাজিয়া, মহেশ্বচাদা গ্রামের ঝর্ণ, দাপনা গ্রামের নাজমা, বলরামপুর গ্রামের মরিয়ম, ভোলপাড়া গ্রামের মাধুরী রানী, হরিগোবিন্দপুর গ্রামের মর্জিনা ও নিয়ামতপুর গ্রামের বিলকিস। এনিমেটর শিখা খাতুন জানান, হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছ থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে ২০১২ সালের দিকে তারা এই কাজ শুরু করেন। প্রথমে নিজ গ্রামের মানুষের কাছ থেকে তেমন সহযোগীতা পাননি তারা। গ্রামের মানুষ তাদের কাজে উপকৃত হওয়ার পর তাদেরকে লিডার হিসেবে মানতে শুরু করেন। শিখা আরো জানান, গ্রামের সার্বিক উন্নয়ন করা, সকলকে দলমত নির্বিশেষে গ্রাম উন্নয়নে সংগঠিত করা, গ্রাম সমবায় পরিচালনা করা, সকলকে সঞ্চয় করতে উদ্বুদ্ধ করা, রাষ্ট্রের বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রম বা কর্মসূচী গ্রামবাসীকে জানানো, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সাথে আলোচনা করে গ্রামের উন্নয়ণ করা, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে সহযোগীতা করা, গ্রামে মৎস্য চাষ, কম্পোষ্ট সার তৈরি, জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ, গ্রামের উৎপাদিত বিষমুক্ত সবজি বিক্রি করতে সহযোগীতা করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে তারা কাজ করে সাড়া পাচ্ছেন। এই দলের সদস্য মাধবঅ রানী জানান, তারা গ্রামে গ্রাম উন্নয়ণ কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিতে গ্রামের নারী-পুরুষ সবাই আছে। গ্রামে কখন কি করা দরকার, গ্রামের উন্নয়নের জন্য কার কাছে যেতে হবে সেই বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়। এছাড়া গ্রামের গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীর বৃত্তি লাভে সহায়তা করা হয়। গ্রামের মহিলাদের সপ্তাহে টাকা ও চাল সঞ্চয় করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। উজ্জিবক নারীদের ভাষ্য তারা টাকার জন্য এই কাজ করেন না। সংসারের কাজ শেষ করে তিারা এ সব কাজ করে থাকেন। এ বিষয়ে হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড প্রোগ্রাম অফিসার এস এম শাহীন হোসেন জানান, নিজ গ্রাম উন্নয়নে আমরা মহিলাদেরকে সহায়তা দিচ্ছি, যাতে তারা নিজের গ্রামকে উন্নতির শিখরে পৌছাতে পারে।

###নূরে আলম জীবন###

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top