সকল মেনু

দুর্গাপুরে “শুভ বড়দিন”পালিত

OLYMPUS DIGITAL CAMERA

বিজন কৃষ্ণ রায়,হটনিউজ২৪বিডি.কম,নেত্রকোনা প্রতিনিধি: প্রতি বছরের ন্যায় এবারও খ্রীষ্টান ধর্মালম্বীদের জীবনে ২৫শে ডিসেম্বর শুভ বড়দিন আনন্দের ক্ষণ বয়ে নিয়ে এসেছে। বিশ্বের সকল খ্রীষ্ট ধর্মীয়দের ন্যায় বাংলাদেশের খ্রীষ্ট ধর্মালম্বীরা বড়দিনকে জাঁকজমক ও পবিত্র ভাবে পালন করেছে। নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার খ্রীষ্ট ধর্মালম্বীরা বড়দিনের পূর্ব রাতে প্রত্যেক গীর্জা ঘরেই বিশেষ উপাসনা করেন এবং বড়দিনের দিন সকালে সমবেত হয়ে উপাসনা অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার।

উৎরাইল ক্যাথলিক চার্চে বড়দিনের উপাসনায় পৌরহিত্য করেন ফাদার ফ্রান্সিস এলেঞ্চারি। বিরিশিরি ব্যাপ্টিষ্ট চার্চে পৌরহিত্য করেন পাষ্টার ষ্টীফেন আশীষ রেমা। দুর্গাপুর হলিনেস চার্চে পৌরহিত্য করেন রেভাঃ মাইকেল প্রদীপ বাউল। উপাসনার পর উপাসকরা সৌভাত্রিত্বে হাত মিলিয়ে পরষ্পর পরষ্পরকে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বড়দিন উপলক্ষে প্রত্যেক বাড়িতে পিঠা পায়েস ও উন্নত খাবার প্রস্তুত হয় এবং একে অপরকে আপ্যায়িত করেন। বড়দিন উপলক্ষে ছোট বড় সবাই নতুন জামা পরিধান করে।
ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই খ্রীষ্ট ধর্মীয় এলাকাগুলোতে সংকীর্ত্তন গাওয়া হয় ও বড়দিনের দিন নির্দিষ্ট সমাজের বাড়িতে প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হয়। এই সংকীর্ত্তন নতুন বছর ১লা জানুয়ারী পর্যন্ত চলে। বড়দিনে খ্রীষ্ট ধর্মালম্বীরা দেশ, জাতির ও বিশ্বের মঙ্গল কামনা করে। এভাবেই খ্রীষ্ট ধর্মালম্বীরা বড়দিন ও নতুন বছর উদ্যাপন করে থাকেন। “বড়দিন হল প্রেম করার দিন, বড়দিন হল আনন্দের দিন, বড়দিন হল পাপ স্বীকারের দিন, বড়দিন হল ক্ষমা করার দিন।”
উল্লেখ যে,প্রথম বারের মত ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে জেলায় জি,আর থেকে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে দুর্গাপুর কলমাকান্দা ৪৩ টি গীর্জায় ২২.৪০০ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ দিয়েছে।

###নূরে আলম জীবন###

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top