সকল মেনু

বিএনপি আন্দোলন চাইলেও প্রস্তুত না অনেক নেতা

নূরে আলম জীবন : দশম জাতিয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে দেশের রাজনীতির অন্যতম শক্তিশালী দল বিএনপি হারিয়ে ফেলেন তাদের সাংগঠনিক ছন্দ। যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে প্রধান শরীক জামায়াতের সঙ্গেও দূরত্ব সৃষ্টি হয় বিএনপি’র।

দলের সিনিয়র নেতারা মামলা ও গ্রেফতার এড়াতে এরিয়ে চলেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। তাই ব্যর্থ হয় রোর্ড ফর ডেমোক্রেসি। হাস্যকর অবস্থায় আসেন খালেদা জিয়ার নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা। সরকার নির্বাচন করলেও বিএনপি’র কোনো নেতাকর্মীকে কোথাও দেখা যায়নি।

নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকলেও,৫ জানুয়ারী নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় তাদের কোনো কর্মকান্ডে জনগণ আর সম্পিক্ত হয়নি।

আওয়ামী লীগ দায়িত্ব নিয়ে সরকার গঠণ করে। বিরোধী দলের আসনে প্রথম বারের মত বসেন রওশন এরশাদ। সেই সাথে বিরোধী দল ও সংসদের বাহিরে চলে যান বিএনপি।

তৃনমূলে ক্ষোভের আগুন নিয়ে বিএনপি ভাঙ্গতে শুরু করে। কিন্তু খালেদা জিয়া কয়েক বার দলকে চাঙ্গা করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন। তারপরও তাতে তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

অবশেষে মির্জা আব্বাসকে আহ্বায়ক ও সোহেলকে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর বিএনপি কমিটি দেন বেগম খালেদা জিয়া।

এরপর আবার সেই পুরনো গন্ধ। কমিটি নিয়ে আব্বাস -সোহেলের দ্বন্ধ। কয়েক দফায় বেগম জিয়া বৈঠক করেন তাদের সাথে। কিন্তু আন্দোলনের জন্য এখনো এই কমিটি ফিট হতে পারেননি বলে জানা যায়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ মনে করেন, সরকারকে হটানোতো দূরের কথা আগামী দু’বছরে নিজেদের তৈরী করতে পারবেন কি না তাই সন্দেহ।

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত্য মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার স্বৈরাচারের ভূমিকায় বসে আছেন ক্ষমতার আসনে। যেখানে জনগণের কোনো ধরণের সম্পিক্ততা নেই। ৫ই জানুয়ারী বিএনপি ভোট কারচুপির কালো দিবস পালন করবেন বলে জানান।

তাই গতকাল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের অফিসে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২ও৫ জানুয়ারী ঢাকায় সমাবেশের ঘোষণা দেন।

সূত্রমতে জানা যায়, এ কর্মসূচী থেকেই আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করবেন বিএনপি। আর সেই আন্দোলনই সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব বলে মনে করেন বিএনপি নেতারা।

শিবিরের নেতাদের সাথেও বিএনপি ভারপ্রাপ্ত্য মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠক করেছেন বলে জানা যায়। বৈঠকে শিবিরকে কঠিন আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নেবার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

সূত্রমতে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবার আন্দোলন শুরু করতে চান ঢাকা থেকেই। কিন্তু ঢাকার বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্ধ থাকায় কালো মেঘ দলের হাইকমান্ড নেতাদের কপালে।

স্থানীয় সূত্রে, মহানগর আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস এক সময় যেখানে নির্বাচন করেন আজ সেখানেই কোন্দল চরমে। সবুজবাগ থানা কমিটি দ্বন্ধসহ বর্তমান ৪নং ওয়ার্ড কমিটিকে দু’ভাগে ভাগ করে দূর্বল করা হয়েছে বলে জানা যায়।

বিএনপি যুগ্মসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আন্দোলনে সব নেতা-কর্মীই মাঠে থাকবেন। আর যারা মাঠে থাকবেন না দল তাদের জন্য না। এ সরকারকে হটাতে খালেদা জিয়ার আহ্বানে সঙ্গে সঙ্গে সকলকে রাজপথে নামার আহবান জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top